• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • নাগরিক সংবাদ

    নন্দীগ্রামে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি,মরিচ ধানে চাষীদের মাথায় হাত

      প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:৫০:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কাউসার মিয়া দিপু, স্টাফ রিপোর্টার বগুড়াঃ

    মরিচ চাষী কৃষক জয়নাল আবেদীন ও সাংবাদিক আব্দুল গফুর, ৫বিঘা জমি ধান ডুবে আছে। গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও বয়ে যাওয়া বগুড়ার নন্দীগ্রামে শত শত বিঘা জমি মরিচ চাষীদের স্বপ্ন এখন বৃষ্টির পানিতে ভাসছে।

    বৈরী আবহাওয়ায় সারাদেশে চলছে ভারী বর্ষণ। বৃষ্টির পানিতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে শত শত বিঘা জমি মরিচ চাষীদের মরিচ সহ একাধিক ফসল বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। সেই সাথে পানির সাথে  ভেসে গেছে প্রায় ৫হাজার পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নষ্ট হয়েছ সেনালী ফসল, ভেঙ্গে পড়েছে শতাধিক কাঁচা বাড়ি। আর এতে করে এই উপজেলায় প্রায় ৫কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

    প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৫হাজার পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলেন মৎস্য চাষীরা। এরমধ্য দুই হাজার পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বুড়ইল গ্রামের মৎস্য চাষী আল উদ্দিন সরকার, বুরচেড়া গ্রামের জলিল, নন্দীগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার মুকুল, জলিল, চাকলমা গ্রামের বাবু, বাচ্চুও ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, তাদের পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলেন কিন্তু টানা বৃষ্টির পানিতে পুকুরের সমস্ত মাছ ভেসে গেছে। নষ্ট হয়েছে প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি।

    মরিচ চাষী কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এবছর আমি ১বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম ফলনও অনেক ভালো হয়েছিল। কিন্তু টানা বর্ষণে আমার সমস্ত মরিচ গাছ নষ্টের পথে। এপ্রর্যন্ত ১বিঘা মরিচ চাষে আমার ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজরে মরিচের দাম অনেক ভালো প্রতি মন ৮/৯ হাজার টাকা বিক্রয় হচ্ছে। আর ৩দিন পর মরিচ তুলে বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রয় করার স্বপ্ন দেখছিলাম কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো।

    এদিকে কৃষি অফিসার গাজিউল হক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে জানায় ধান ৭০হেক্টর, কাঁচা মরিচ ৫হেক্টর, শাক-সবজি ২হেক্টর নষ্ট হয়েছে।

    উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাকিবুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন পুকুরে মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নির্ধারন করা যায়নি।

    অপরদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, এক টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক কাঁচা ঘর ভেঙ্গে পড়েছে এরমধ্য তিনটি পরিবারের খবর যানা গেছে অপরগুলো তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যাবে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারগণকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

    আরও খবর

    Sponsered content