• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • অর্থনীতি

    বান্দরবানে অবৈধ ২৩ ইটভাটায় অভিযান, অর্থদন্ড সাড়ে ৩১লাখ

      প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:৫৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:

    মৌসুমের শুরুতে একের পর এক পাহাড় কেটে মাটি যোগানের মাধ্যমে পরিবেশ বিপন্ন করার দায়ে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটা মালিককে ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে বান্দরবান জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর। ১২অক্টোবর জেলা প্রশাসন ও বান্দরবান জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ২৩টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস এ অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। সূত্রে জানা গেছে, কোন রকম অনুমতি না নিয়ে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৩০টি ইটভাটা গড়ে তোলা হয়। এসব ইটভাটার মালিকেরা ইট তৈরি করার জন্য ইটভাটা সংলগ্ন পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলছে। এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

    পরে এফএসি ব্রিক্সের মালিক ফরিদুল আলমকে ১ লাখ ২০ হাজার, এমএমবি ব্রিক্সের মালিক ফরিদ আহম্মদকে ২ লাখ ২০ হাজার, সেভেন বিএম ব্রিক্সের মালিক কবির আহম্মদকে ১ লাখ, এসএবি ব্রিক্সের মালিক শাহ আলমকে ১ লাখ, রায়হানকে ১ লাখ ৫৫ হাজার, ইবিএম ব্রিক্সের মালিক মোজাম্মেল হককে ১ লাখ ৩০ হাজার, বিএমডব্লিউ ব্রিক্সের মালিক মিজানকে ১ লাখ ৪০ হাজার, এমবিআই ব্রিক্সের মালিক মাহমুদুল হককে ১ লাখ ২০ হাজার, কেবিসি ব্রিক্সের মালিক মোস্তাককে ১লাখ, এমএইচবি ব্রিক্সের মালিক আজিজ উদ্দিনকে ১ লাখ ২০ হাজার, এবিসি ব্রিক্সের মালিক বেলাল হোসাইনকে ১ লাখ, এসএমবি ব্রিক্সের মালিক হাবিবুর রহমানকে ১ লাখ ৫০ হাজার, ওয়াইএসবি ব্রিক্সের মালিক মহিউদ্দিনকে ১ লাখ, খায়রুদ্দিন মাস্টারকে ১ লাখ ২০ হাজার, বিবিএম ব্রিক্সের মালিক এহসানুল হককে ১ লাখ ৫০ হাজার, ইউএমবি ব্রিক্সের মালিক মোক্তার আহম্মদকে ১ লাখ ৭০ হাজার, ডিএমবি ব্রিক্সের মালিক নাজেম উদ্দিনকে ১ লাখ ৮০ হাজার, ইউবিএম ব্রিক্সের মালিক ওয়ালী উল্লাহকে ১ লাখ ৪০ হাজার, ইউবিএম ব্রিক্সের মালিক মুজিবুল হককে ১ লাখ ২০ হাজার, এমবিএম ব্রিক্সের মালিক মহিউদ্দিনকে ১ লাখ ৪০ চল্লিশ হাজার, ৩ এমবি ব্রিক্সের মালিক মোক্তার আহমদকে ১ লাখ ৮০ হাজার, এসবিডব্লিউ ব্রিক্সের মালিক গিয়াস উদ্দিনকে ১ লাখ ৬০ হাজার, ফাইভবিএম ব্রিক্সের মালিক জোনায়েদকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ ২৩ ইটভাটার মালিককে ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    এ বিষয়ে ফাইতং ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবির খান বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য আমরা এই ইটভাটাগুলো পরিচালনা করি। ইটভাটাগুলোতে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমিক রয়েছে। ৫ শতাধিক পরিবারের আয় রোজগার হয়। এত টাকা জরিমানা করলে আমরা কীভাবে ইটভাটা পরিচালনা করব। কত টাকাই বা এখানে লাভ হয়। এভাবে জরিমানা করতে থাকলে আমরা ভবিষ্যতে আর ইটভাটা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবেশ বিপন্ন করার দায়ে ইটভাটাকে জরিমানার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন জানান, ফাইতং ইউনিয়নে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর কোনো বৈধতা নেই। তাছাড়া এসব ইটভাটার কারণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। তাই ২৩টি ইটভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, গত ১২ অক্টোবর জেলা ও বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে লামা ফাইতং ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাহাড়ের মাটি কাটার সত্যতা পান। ইটভাটার আশেপাশে ৩০ একর এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলেছেন ইটভাটা মালিকরা। সত্যতা পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে।
    এদিকে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, ইটভাটা মালিকদেরকে পাহাড় কেটে এ ধরনের ইটভাটা না করে আধুনিক পদ্ধতির ঝিকঝাক ইটভাটা তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। আদেশ না মেনে যারাই পরিবেশের ক্ষতি করে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    আরও খবর

    Sponsered content