• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন নদীতে চলছে মাছ ধরার উৎসব

      প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৩১:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

    ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন টাঙ্গন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। (৩০আগস্ট) সোমবার সকাল থেকে জেলার উত্তরে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের চাপাতি গ্রামে অবস্থিত টাঙ্গন নদীতে এই মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
    প্রতি বছর ভরা মৌসুমে মৎস্য বিভাগের আওতায় এখানকার প্লাবন ভূমিতে সরকারিভাবে মাছ অবমুক্ত করা হয়। তিন মাস পর মাছ বড় হলে ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব।
    বিভিন্ন জেলা হতে আগত হাজার হাজার মানুষ এসেছেন কেউ মাছ ধরতে, আবার কেউ এসেছেন কিনতে। এসময় টাঙ্গন নদী মাছ শিকারি ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
    এদিকে ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় সদর উপজেলার চাপাতি, আটোয়ারী উপজেলার সাতপাখি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নেমে গেলে কম পানিতে চলে মাছ শিকারের মহোৎসব।
    ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ নীলফামারী জেলার মাছ শিকারিরা এখানে এসে তাবু গেঁড়ে মাছ শিকার করছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শিকারিরা ফিকা ও লাফি জালসহ বিভিন্ন বাহারী জাতের জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। এজন্য কেউ কেউ কলাগাছের ভেলা তৈরি করে বিস্তীর্ণ এলাকায় মাছ শিকার করছেন। এই উৎসবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। তবে শহরের চেয়ে এখানকার মাছের দাম বেশি বলে জানালেন বেশিরভাগ ক্রেতা।
    তারা জানান, এখানে প্রতি কেজি টেংরা, বাইম, শিং, টনা মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শোল ও রুই, কাতল চাওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকার উপরে। পুটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি।
    রুহিয়ায় সমুন ইসলাম, শ্যামল সেন সএকাধিক মাছ শিকারি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মাছের পরিমাণ কম। সোমবার বিকাল থেকে এখন পর্যন্ত মাছ ধরেছি মাত্র দুই কেজি। বড় মাছ ধরতে পারিনি। স্থানীয়রা কারেন্ট জাল ও রিং ব্যবহার করে আগেই সব মাছ ধরে নিয়ে গেছে।
    ১৯৯০ সালে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার ৪৪ দশমিক ৫০ হেক্টর জমিতে শুষ্ক মৌসুমে গম, বোরো, সরিষা ও আলু সম্পুরক সেচ প্রদানের উদ্দেশ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পাউবো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামে টাঙন নদীর ওপর এই ব্যারেজ স্থাপন করে।

    আরও খবর

    Sponsered content