প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৫৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
কবির হোসাইন, সদরপুর (ফরিদপুর) থেকে-
ফরিদপুরের সদরপুরে মিগজাউম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট টানা বৃষ্টিতে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। চলতি রবি মৌসুমে বেশিরভাগ কৃষক মাঠে পেঁয়াজ, রসুন, গম, সরিষা ধনিয়া, মসুরি, কলাই, কালোজিরা, ধানের বীজতলায় বীজ বপন করেছিলেন। গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে বপনকৃত শস্যদানা নষ্ট হয়ে যাবার কারণে চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা। মাটি শুকিয়ে গেলে আবার বীজ লাগানোর প্রস্তুতি নিবেন বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ, এতে ডবল খরচের তলে পড়বেন তারা।
ভাষাণচর এলাকার কৃষক সুধীর মন্ডল জানান, তার ১০ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ লাগাতে ৩০ হাজার টাকার বীজ ও ১৫ হাজার টাকাকৃষাণ খরচসহ সাকুল্যে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই বৃষ্টিতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। মাটি শুকিয়ে গেলে আবারও চাষাবাদ করবেন বলে তিনি জানান। তার মত কৃষক জাহিদ খোন্দকার, তৌহিদ মৃধা, জাহাঙ্গীর মৃধাও একই কথা বলেন। রামচন্দ্রপুর এলাকায় বেশ কিছু ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। কেউ কেউ শুক্রবার ও শনিবার নীচু ক্ষেতের পানি নিষ্কাষন করে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করছেন।
আমিরাবাদের কৃষক সমীর ফকির জানিয়েছেন, এবার তিনি কলাই, ধনিয়া আর গম বুনেছেন। দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। মাটি শুকিয়ে গেলে আবার বীজ বুনবেন। চরবিষ্ণুপুরের কৃষক তৈয়ব আলী জানান, বরাবরের মত এবারও কালোজিরা, মসুরি, সরিষা, কলাই বপন করেছি। চারা গজিয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টিতে সেগুলো ঢলে পড়েছে। রোদ না উঠলে গোড়ায় পচন ধরে যাবে।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন এ প্রতিবেদককে টেলিফোনে জানিয়েছেন, এই মূহুর্তে রবিশস্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। আমরা কৃষক পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। গতকাল (শনিবার) যেহেতু রোদ উঠেছে, আশাকরি উঁচু জমিতে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের মাঝে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন সহযোগীতা ও প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত থাকবে।