সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: ১ মার্চ ২০২৩ , ৩:৩১:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন হটামার গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং নগদ অর্থ সহযোগিতা করেন। বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের দেখার জন্য ঢাকা থেকে নিজের কাজ ফেলে হাটামার গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। পরিদর্শনের সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মাদ আলী, সহ সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, এপিএস আব্দুর রাজ্জাক পাবেল সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা গ্রামে আগুন লেগে ৩৮ টি কৃষকের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। সোমবার দুপুর প্রায় ১ টায় ওই গ্রামের বাসিন্ধা মো: আমিন মিয়া’র ঘর থেকে বিদ্যুৎতিক লাইনে সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা সমপরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার গুলো।
দুপুরে আগুনের সূত্রপাতেই হঠামারা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা চিৎকার শুরু করে। এরপর আশপাশে থাকা কিছু লোক দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। এ সময় ধীরে ধীরে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। এ সময় গ্রামের বেশীর ভাগ পুরুষ বোরো মওসুমে তাদের কৃষি কাজে জমিতে কাজ করছিলেন। পড়ে কৃষকরা তাদের গ্রামে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দ্রুত বাড়িতে চলে গিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন। গ্রামটি খুব ঘনবসতি হওয়ায় আগুন লাগার পর দ্রুত প্রতিবেশীদের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো না থাকায় জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কোন দল সেখানে যেতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে আমিন মিয়া, সোহেল মিয়া, শামসুল আলম, জাহির মিয়া, মুন্নাফ মিয়া, অরুনা বেগম, রব্বানী মিয়া, আলমগীর, রাজা মিয়া, মস্কুর মিয়া, হালান মিয়া , নুরজাহান, সালেক মিঞা, মুতুল্লির বউ, নজরুল, ইসানুর , জহিরুল ইসলাম, হরজুল, সায়েদ, আমিরুল, রোকশানা, বকুল মেম্বার, নুরজালাল মাষ্টার, দুলাল, আলমগীর সহ আরো অনেকেই।
এঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ছুটে যান হঠামারা গ্রামে।
তিনি জানান, গ্রামবাসীদের ভাষ্য মতে ৩৮ টি ঘর পুড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এমপি রতনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ বিতরন করা হয়। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপণ করে তাদেরকে ঘর মেরামতের জন্য টিনসহ প্রয়োজনীয় জিনিস সরকারিভাবে সহায়তার আশ্বাস প্রধান করেন।