• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • অর্থনীতি

    হজ/উমরাহ্‌ এর জন্য জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌছানোর পর করণীয়

      মোঃ আঃ রহিম জয়, সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী: ২৪ মার্চ ২০২৩ , ৯:৩১:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    জেদ্দা বিমানবন্দরে বিমান থেকে অবতরণের পর আপনি ছোট হাত ব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জে/অপেক্ষা কক্ষে গিয়ে বসুন। এখানে একটি ছোট ইমিগ্রেশন ফরম পূরণ করুন অথবা অন্য কারো সাহায্য নিয়ে এটি পূরণ করুন।

    এরপর দলবদ্ধ হয়ে হালকা সবুজ রংয়ের যে কোনো ইমিগ্রেশন কাউন্টারে লাইনে দাঁড়াবেন। সেখানে ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার পাসপোর্ট চেক করবেন এবং সিল দিবেন। আপনার ফিংগার প্রিন্ট নিতে পারে, ছবিও তুলতে পারে। আপনার ছোট হাত ব্যাগ স্ক্যান করা হতে পারে, আবার নাও হতে পারে, এটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
    ইমিগ্রেশন চেক করার পর দলবদ্ধ হয়ে আপনি লাগেজ বেল্ট থেকে আপনার বড় লাগেজটি নিয়ে নিন। একটি লাগেজ ট্রলি নিয়ে এতে লাগেজটি রেখে টেনে নিয়ে টার্মিনাল থেকে বের হবেন।
    বের হওয়ার গেটে সৌদি ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ আপনার বড় লাগেজটি নিয়ে নিবে যা জায়গা মতো বাংলাদেশ প্লাজায় পেয়ে যাবেন।
    পরে আরেকটি কাউন্টারে আপনার পাসপোর্ট আবার চেক করা হবে এবং আপনার পাসপোর্টে বাস ট্রাভেল স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করুন।
    জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ও অন্য কাউন্টারে যেসব সৌদি লোক কাজ করেন তারা খুব মন্থর গতিতে ও ধীরে কাজ করেন এবং আপনি কতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অথবা আপনি কতটা ক্লান্ত তারা এসব বিষয় বিবেচনা করেন না। কারণ, তারা প্রতিদিন এমন হাজার হাজার হজযাত্রীকে সেবা দিচ্ছেন। তাই আপনাকে ধৈর্যশীল থাকার অনুরোধ করবো।

    বাংলাদেশ প্লাজা জেদ্দা বিমানবন্দরের বাইরে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের অপেক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান। এখানে বসে থাকুন বাস না আসা পর্যন্ত বিশ্রাম করুন। তালবিয়াহ পাঠ করতে থাকুন। আপনি যে ইহরাম করা অবস্থায় আছেন সেটা ভুলে যাবেন না।
    এবার আপনার সৌদি আরবের মোবাইল সিম চালু করুন। আপনার পরিচিতজনদের ফোন করে আপনার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করুন। আপনার হজ গাইডের নাম্বার ও বেশ কয়েকজন হজযাত্রীদের নাম্বার মোবাইলে সেভ করে রাখুন।
    আপনি এখান থেকেও সৌদি সিম কিনতে পারবেন। যাদের স্মার্টফোন রয়েছে তারা ইন্টারনেট সিম কিনতে পারেন।
    জেদ্দা বাংলাদেশ হজ মিশনের একটি অফিস এখানে অবস্থিত। এখানে আশেপাশে অনেক ক্যাফেটেরিয়া ও দোকান রয়েছে। পর্যাপ্ত ওয়াশরুম ও সালাতের স্থানও রয়েছে এখানে আশেপাশে।
    আপনার সৌদি মু‘আল্লিম আপনার জন্য পরিবহন পাঠাবেন। বাস আসলে আপনার বড় লাগেজটি বাসের বক্স অথবা ছাদে দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ব্যাগ ও লাগেজ সঠিক বাসে উঠলো কি না।
    বাস ড্রাইভার বা সুপারভাইজর সকল যাত্রীর পাসপোর্ট নিয়ে নিবেন। তবে কোনো চিন্তা করবেন না ও ভয় পাবেন না। কারণ, এসব পাসপোর্ট সৌদি মু‘আল্লিম অফিসে জমা রাখা হবে। হজ শেষে ফিরতি যাত্রার সময় আপনি পাসপোর্ট ফেরত পাবেন।
    আবার সেই একই সর্তকতা; সবসময় দলবদ্ধ হয়ে সকল জায়গায় যাবেন এবং সকল কাজ করবেন। কখনই দলছাড়া হবেন না, দলছাড়া হলে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন ও সমস্যায় পড়তে পারেন।
    জেদ্দা থেকে বাস যাত্রা করে মক্কা পৌছাতে ২-৩ ঘণ্টা আরও অবস্থা অনুযায়ী আরও বেশি সময় লাগতে পারে। হাজীদের আপ্যায়ন হিসাবে রাস্তায় চেকপোষ্টে নাস্তা ও পানি বিতরণ করা হয়, এগুলো গ্রহণ করুন। রাস্তায় তালবিয়াহ পাঠ করতে থাকুন।

    আরও খবর

    Sponsered content