কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৩০:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে যাচ্ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। পথে বাসটি পটিয়া বাইপাস সড়কে পৌঁছলে প্রসববেদনা উঠে ওই নারীর। এসময় তার কান্না ও চিৎকারে যাত্রীদের অনুরোধে চালক বাসটি ঘুরিয়ে সোজা নিয়ে যান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতাল গেইটের ভিতরে ঢুকে যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খবর গেলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা ওঠেন বাসে। কিছুক্ষণ পরেই ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয় সেই বাসে।
রোববার ২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সন্তান জন্ম দেওয়া নারীর নাম ইয়াছমিন আক্তার (২৫)। তিনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী। আবদুস শুক্কুর পেশায় সাগরে মাছ ধরার কাজ করেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ পূর্বকোণকে জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একটি যাত্রাবাহী বাস হাসপাতালের মাঠে ঢুকে জরুরি বিভাগে খবর দেয় অন্তঃসত্ত্বা এক যাত্রীর প্রসববেদনা উঠেছে। এসময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া সারিন প্রথমে বাসে গিয়ে রোগীর অবস্থা দেখে হাসপাতালে বৈকালিক চেম্বারে থাকা গাইনি চিকিৎসক কাজী ফারহানা নুরকে নিয়ে বাসে উঠে সন্তান প্রসব স্বভাবিক প্রসবের পর মা ও শিশুটিকে বাস থেকে নামিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেভার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা ভর্তি আছেন। ইয়াছমিন আক্তারের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, রোববার সকালে তার স্বজনেরা তাকে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখান। চিকিৎসকের পরামর্শে স্বামীসহ স্বজনেরা তাকে চকরিয়া থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকেলে বাসেই তার প্রসব ব্যথা শুরু হলে পথে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ইয়াছমিনের তিন মেয়ে সন্তান আছে। এটি তার চতুর্থ সন্তান।