• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • ধর্ম

    শান্তিপুর্নো ভাবে শেষ হলো বড়লেখার নিউ সমনবাগ চা বাগানে চড়ক পুঁজা

      অজিত দাস, ব্যুরো চীফ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ৪ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:০৫:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    গোটা মাঘ মাস জুড়ে বাঙালিরা পালন করতে থাকে নানা উৎসব। এর মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তি ও চড়কের পুজো বেশ বিখ্যাত। মূলত গ্রামবাংলার মানুষ এই পুজোয় মেতে ওঠে। তবে এই চড়কের কাহিনী অনেকের কাছেই অজানা। রয়েছে নানা মতভেদ।মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ১০নং দক্ষিণ ভাগ, দক্ষিণ ইউনিয়ন এর ৪নং ওয়ার্ডের নিউ সমনবাগ চা বাগানের ঐতিহ্যবাহি ফুটবল মাঠে চড়ক পুঁজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চৈত্র মাসের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে এই উৎসব পালিত হয়। এটি মূলত বাঙালি হিন্দুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। মাঘ মাসের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসব চলে। লিঙ্গপুরাণ, বৃহদ্ধর্মপুরাণ এবং ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে চৈত্র মাসে শিবের আরাধনা এবং উৎসবের উল্লেখ থাকলেও চড়ক পুজার উল্লেখ নেই। তবে পাশুপত সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাচীনকালে এই উৎসব প্রচলিত ছিল। উতখন সমাজের উচ্চ স্তরের লোকেদের মধ্যে এই উৎসবের প্রচলন থাকলেও মূলত নিম্ন সম্প্রদায়ের লোকই বেশি পালন করে এই পুজো। লোকমুখে শোনা যায় যে ১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে সুন্দরা নন্দ ঠাকুর নামের এক রাজা প্রথম করেছিলেন এই পুজো।

    চড়কগাছে ভক্ত বা সন্ন্যাসীকে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার পিঠে, হাতে, পায়ে,শরীরের অন্যান্য অঙ্গে জ্বলন্ত বাণ শলাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতিও রয়েছে। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার আইন করে এই নৃশংস নিয়ম বন্ধ করলেও গ্রামের সাধারণ লোকের মধ্যে এখনও তা প্রচলিত আছে। আবার বাচ্চাদের বা অনেককেই শিব সাজিয়ে গ্রাম ঘোরানো হয়। সঙ্গে থাকে সখী। এরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে নানাভাবে মনোরঞ্জন করে দান সংগ্রহ করত। আগের দিন নীল পুজোর পর সন্ন্যাসীরা উপোস থাকেন। পরদিন বিকেলে এই বিশেষ চড়ক পুজো শেষ করেই তারা নিজেদের উপোস ভাঙেন।

    এই পুজোর অপর নাম গম্ভীরাপুজো বা শিবের গাজন। আগের দিন চড়ক গাছটিকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। এতে জলভরা একটি পাত্রে শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখা হয়, যা পুজারিদের কাছে ‘বুড়োশিব’ নামে পরিচিত। পতিত ব্রাহ্মণ এই পুজোর পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন। পুজোর বিশেষ বিশেষ অঙ্গ হল কুমিরের পুজো, জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, কাঁটা আর ছুরির ওপর লাফানো, বাণফোঁড়া, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য, চড়কগাছে দোলা এবং দানো-বারানো বা হাজারা পুজো করা। এই সব পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ভূতপ্রেত ও পুনর্জন্মবাদের ওপর বিশ্বাস। এর বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রাচীন কৌম সমাজের নরবলির মতোই প্রায়। পুজোর উৎসবে যারা অংশ নেয় তারা বহু প্রকারের দৈহিক যন্ত্রণা সহ্য করে মনোরঞ্জন করে যা ধর্মের অঙ্গ বলে বিবেচিত হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content