• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • অর্থনীতি

    গাইবান্ধা সদরে ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে চলছে চলাচল

      মোস্তাকিম রহমান গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:০৬:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আওতাধীন চকবরুলের শৌলতাড়ী(ফছির) ব্রীজ দিয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে যানবাহন পারাপার।এই ঝুকিপূর্ণ ব্রীজটি দিয়ে প্রতিনিয়ত পার হতে বিভিন্ন প্রকার দূর্ঘটনা ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও এরোডের চলাচল কারী কয়েক লক্ষ ভুক্তভোগীর।এটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী টু তালুকজামিরা রোডের মাঝপথে সংলগ্নে অবস্হিত শৌলতাড়ী(ফছির) ব্রীজ। স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,

    ব্রীজটি ফছির গেট নামে স্থানীয় ও এলাকাবাসীর কাছে সু-পরিচিত। এই ব্রীজটি নির্মাণের সময় ফছি নামে এক ব‍্যক্তি ব্রীজটির তত্ত্বাবধানের দ্বায়িত্ব ছিলেন। এটির জন্য ফছি নামের ব্যক্তির আলাদা একটি কক্ষ ছিল ।একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মৃত্যু হওয়ার পর তার ব্যবহৃত কক্ষটির মালামাল বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, ২০১৯ সালের ভয়াবহ সর্বনাশা বন্যায় পানির স্রোতে ও পানি কমানোর সাথে সাথে শৌলতাড়ী

    ব্রীজটির পশ্চিম – দক্ষিণ অংশের মাটি কিছুটা সরে গেলে। তা পরবর্তীতে ব্রীজের পশ্চিম দিকে ডাবিয়ে যায়।এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্রিজটি সংস্কার কাজ না করায় দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারী ও সাধারণ মানুষের।এব্রীজটি পথচারীদের ও সাধারণ মানুষের জন্য একমাত্র বাহক হিসেবে পরিচিত।এই ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত করতে নানা রকম ছোট – বড় দূর্ঘটনা ও প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পথচারী ও এলাকাবাসী।

    এটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী টু গোবিন্দগন্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের বাহক হওয়ায়ঃ- বাইসাইকেল– মটরসাইকেল, রিকশা, ভ‍্যান,অটোরিকশা, সিএনজি, মিনিট্রাক ও মালবাহী ট্রাকসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। যার কারনে প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।তাই যাতে ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করা হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও এই রাস্তায় চলাচলকারী ভুক্তভোগীরা ।সদর উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৭৬ সালে ব্রীজটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড । তারপর প্রায় ৪৭ বছর ধরে চলে আসছে ব্রীজের নির্মাণ কাজ । এরপর কোনো সংস্কার কাজ এক থেকে দুইবার করা হয়েছিল।

    এবিষয়ে ইউপি সদস্য মো: জেলাল আকন্দ জানান , এই ব্রীজটি অনেক আগে থেকেই মারাত্মক ভাবে চলাচলের জন্য অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। বিগত ২০১৯ সালে ভয়াবহ বন্যার পানির স্রোতে ও অধিক চাপের কারণে ব্রীজটির পশ্চিম-দক্ষিন অংশে অনেকটা মাটি সরে গেছে। সরে যাওয়ার কারণে পথচারী ও সাধারণ মানুষের আরও ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাই দ্রুত ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করা দরকার বলে জানান তিনি।এবিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো: বাবলু মিয়া জানান, ব্রীজটি আমরা পরিদর্শন করেছি, এব‍্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content