• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • নাগরিক সংবাদ

    বিয়ের দাবীতে প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার দুই দিন অনশন

      প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৫২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,  বিশ্বনাথ বর্মন:-

    ইতালি প্রবাসির অনিক দাসের বাড়িতে দুই দিন ধরে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছে প্রেমিকা ববিতা দাস (২১) ববিতা দাস সদর উপজেলার আখানগড় গ্রামের জুলেন্ট দাসের মেয়ে । ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের এমপি’র মোড়ের পাশে প্রবাসি প্রেমিক অনিক দাস(২৫) এর বাড়িতে এ অনশন চলছে । অনিক ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের অতুল দাসের ছেলে। ববি দাস জানান, আমি যখন ঠাকুরগাঁও পাবলিক পলিট্রেকনিক‌্যাল কলেজে পরতাম তখন থেকে অনিকের সাথে আমার প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমাদের ভালোবাসা অনিকের পরিবার মেনে না নিতে চাইলে অনিক আমার বাসায় চলে আসে এবং কোর্টে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন দিন পর অনিকের পরিবারের লোকজন আমার পরিবারে আসে বলে আমরা এই বিয়ে মেনে নেব, এদেরকে আমরা রুহিয়া ক‌্যাথলিক মিশনের ফাদারের কাছে নিয়ে যাব এর পর বাসায় নিব। এই বলে ওরা আমাকে অটোচার্জার রিকশায় তুলে এবং অনিককে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। তারা মধুপুর কালিতলায় আসার পরে অনিককে কোথায় নিয়ে যায় তা আমি জানিনা তবে আমাকে জোড় করে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে যায় সেখানে আমার কাছে ডিভোর্স (ছাড়াছাড়ি) পেপারে সাক্ষর চায়। আমি কোন সাক্ষর দিইনি এর পরেও তারা বলে আমি নাকি সাক্ষর দিয়েছি, আমি কখন কিভাবে সাক্ষর দিলাম তা নিজেও জানিনা। এতসব বিষয়ের পর আমার পরিবার আমাকে অন‌্য জায়গায় বিয়ে দিলে অনিক কোথায় কিভাবে আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করে এবং তাকে অনেক উল্টপাল্টা কথা বলে ও ভয়ানক হুমকি দেয়। অনিকের কথায় আমার দ্বিতীয় স্বামী বাবু আমাকে অনেক নির্যাতন শুরু করে। এরপর অনিক আবার আমার সাথে যোগাযোগ শুরু করেন এবং আমাকে টাকা পাঠায় খাওয়া দাওয়া সহ দ্বিতীয় স্বামীকে ডিভোর্স করার জন‌্য। সে বলে দশ বাচ্চার মা হলেও তুমি আমার আমি তোমাকেই নিয়ে জীবন কাটাবো। তুমি আমার বাসায় চলে আস তাই আমি দ্বিতীয় স্বামীকে ডিভোর্স করে চলে এসেছি অনিকের বাড়িতে। আমার মোবাইলে অনিক আমার অনেক ছবি ও প্রয়োজনীয় তথ্য সহ অনিক আমাকে টাকা পাঠানোর কিছু এসএমএস ছিল। তারা আমাকে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৩ টার সময় জোরকরে ধরে ২০নং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে একটা রুমে আটকে রাখে এবং আমার মোবাইল ফোনটা কেড়ে নিয়ে সব কিছু ডিলিট করে দেয়। পরে মোবাইলটি আমাকে এনে দেয় এবং বলে তুমি বাসায় চলে যাও। এখন যদি অনিক বা তার পরিবার আমাকে মেনে না নিলে আমি এখানে আত্মহত‌্যা করবো। এ বিষয়ে অনিক দাস এর বাবা অতুল দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যে আপনাকে কিছু কথা বলবো সেই সিচুয়েশন এখন নাই। ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড সদস‌্য অনিতা রানি সেন জানান, আমাকে কল করলে আমি দুপুর সাড়ে ১২টায় দিকে ঘটনা স্থানে আসি এবং ঘটনার বিবরণ শুনতে পারি। তারা বিকালে মেয়ে এবং তার পরিবার সহ ইউনিয়ন পরিষদে বসবে বলে আমাকে জানায়। ছেলের পরিবারের কয়েকজন মেয়েটাকে পরিষদে নিয়ে আসলে সেখানে বসে কথা বলার মত কোন সুযোগ হয়নি। মোবাইলের ডুকমেন্ট বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন মোবাইলটা আমাকে রাখতে দিয়েছিল, আমি মোবাইলটা জয়ন্তকে রাখতে দিই। পরে মোবাইলটা ববিতাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম‌্যান অনিল কুমার সেনের নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি শুনেছি একটা মেয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করছে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি।

    আরও খবর

    Sponsered content