• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • নাগরিক সংবাদ

    লোডশেডিং আর তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভূরুঙ্গামারীবাসীর জনজীবন

      প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:৩৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    এস এম মনিরুজ্জামান, রংপুর ব্যুরো প্রধানঃ

    চৈত্রের শেষের দিক থেকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পুরো দেশ। কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাবাসীর জনজীবন । বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন ভূরুঙ্গামারীর খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। একদিকে রমজান মাস, তার উপর গরমের তীব্রতায় তৃষ্ণার্ত মানুষ ও প্রাণীকুলে নাভিশ্বাস উঠেছে। চারিদিকে একটু শীতল পরশ লাভের জন্য মানুষের যেন ব্যাকুল প্রচেষ্টা। এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রকমের রোগ। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশেষজ্ঞরা প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পরামর্শ দিলেও কর্মজীবী লোকজন পিপাসা মিটাতে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের শরবত, পানি পান করছেন। এতে করে পানিবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়াচ্ছে দিন দিন। তীব্র দাবদাহের কারণে ভিক্ষা করতে বের হতে পারেননি শারীরিক প্রতিবন্ধী হযরত আলী । তিনি বলেন, যেই গরম, শইল মনে অয় পুইড়া যায়। আইজকা দিনের বেলা আর ভিক্ষা করতে বাইর হই নাই। সারা দিন কলেজ মাঠের কোনায় গাছতলায় বইয়া আছিলাম। হযরত আলীর মতো দিনজুড়ে তীব্র দাবদাহে নাকাল হয়েছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাবাসী। রিকশাচালক একাব্বর আলী বলেন, চৈত্রের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে। এদিকে দাবদাহে রোজাদারদের কষ্টও বেড়েছে।এর মাঝে শুরু হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। রোজার মাস হওয়ায় একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতেও পারছে না মানুষ। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। উপজেলা সদরের বাসিন্দা রাজিব বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার সন্তান গত তিন দিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে।”

    শিক্ষার্থী সিহাব কাছে এই গরমকে ‘আগুন’ মনে হয়েছে। সিহাব বলেন, দিনের বেলা রুমে বসে থেকেই মনে হচ্ছিল- গরমে মাথাটা ঘুরতেছে। এদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে বিদ্যুৎ নেই। বালিশ-বিছানা সবকিছু গরম। এই গরমে রোজা রেখে প্রচুর ডিহাইড্রেশন হচ্ছে।

    কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন বলেন, আপাদত বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই। জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম তাপমাত্রা বারার কারনে গরমে শিশুদের বাবা-মাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখন শিশুদের বাইরের কোন খাবার খাওয়ানোবেন ন। শিশুদের গা ঘেমে গেলে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। বয়স্কদের কোনো সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবেন।

    আরও খবর

    Sponsered content