• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • ইসলামী জীবন

    আহলে হাদিস ও মাযহাব নিয়ে ইতিকথা

      প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:১৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    লেখক মো: জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান

    আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন।তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)।বর্তমান পৃথীবিতে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ১৭০ কোটি প্রায়। যারা আমাদের মাঝে মুসলিম হিসাবে পরিচিত।
    মানবতার অগ্রদূত হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর ইন্তেকালের পর চতুর্দিক থেকে সৃষ্টি হয় ফিৎনা। হিজরী প্রথম শতকে তা মহামারি আকার লাভ করেন। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে তৎকালীন সময়ের জগৎবিখ্যাত আলেমগণ এ ফিৎনা নিরসনে এগিয়ে আসেন। এ ফিৎনা নিরসন করতে গিয়ে মাযহাবের উৎপত্তি হয়। সৃষ্টি হয় চার মাযহাবের।
    এখন মনে প্রশ্ন জাগেতে পারে, যে কাজ সাহাবীরা করেননি সে কাজ অন্যরা কেন করলেন?
    উত্তর:
    সাহাবীদের যুগেও অসংখ্য ফিৎনার সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে সাহাবীরা আল্লাহর নবীর সান্নিধ্য অর্জন লাভের কারণে তা মহামারি আকার ধারণ করতে পারেনি।কেননা সাহাবীরা আল্লাহর নবীর আমল পদ্ধতি চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। সাহাবীরা মাযহাব প্রণয়ন করেনি এর মানে এটা নয় যে তাঁরা যদি থাকতেন তবে মাযহাবের বিরোধীতা করতেন। একটি উপমা এখানে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ যাতে এ প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ পাবে।
    মহানবী (স.) এর মৃত্যুর পর আবু বকর (র.) এর খিলাফতকালীন সময়ে ভন্ড নবী মুসায়লামার বিরুদ্ধে ইয়ামামার যুদ্ধ সংঘটিত হয়।এ যুদ্ধে প্রায় সত্তরজন হাফেজ শহীদ হন। তখন কুরআন সংকলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। হযরত ওমর (র.) এ বিষয়টি বারবার হযরত আবু বকর (র.) এর কাছে উপস্থাপন করেন।কিন্তু হযরত আবু বকর (র.) প্রাথমিক সময়ে কুরআন সংকলনের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন।তিনি বলেন যে কাজ আল্লাহর রাসূল করেননি, করতে বলে যাননি সে কাজ আমি কিভাবে করতে পারি। এর পরে মহান আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে হযরত আবু বকর (র.) এর মনকে উদার করে দেন।এবং তিনি কুরআন সংকলন করেন। হযরত ওমর (র.) আমলে তা বহাল থাকে।
    তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (র.) এর খিলাফত কালে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিৎনার সৃষ্টি হয়।মুসলিম উম্মাহ এর মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। তখন হযরত উসমান (র.) সার্বিক বিবেচনা করে এ ফিৎনা নিরসনে কুরআনে পূর্বের সকল পান্ডুলিপি পুড়ে ফেলেন। এবং পুনরায় নতুন করে কুরআন সংকলন করেন। যা আজও বহাল রয়েছে।
    একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, মুসলিমজাতির কল্যাণে বিশেষ প্রয়োজনীয়তার খাতিরে সাহাবীগণ এমন কাজ করেছেন যা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) করেননি এবং করার জন্য নির্দেশ ও দেননি।
    মাযহাব উৎপত্তি লাভ করে ফিৎনা নিরসনে বিভক্তি রোধে।
    মনে প্রশ্ন আসতে পারে, চার মাযহাব কি ইসলামকে বিভক্ত করে দেয়নি চার ভাগে? চার মাযহাব কি একে অপরের সাংঘর্ষিক নয়?
    উত্তর প্রশ্নটিতে যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে।লা মাযহাবীরা এ প্রশ্নটি করে মানুষের মাঝে সন্দেহের বীজ বপন করে দেয়। চার মাযহাব ইসলাম কে বিভক্ত করে নি। বরং ইসলাম কে সহজ করে দিয়েছে।কিন্তু কিভাবে?
    আমরা যখন নবম দশমের কোন বীজগণিত সমাধান করতে যায়।তখন দেখা যায় যে একটি গণিতকে কয়েক নিয়মে সমাধান করা যায়।তবে শর্ত হলো তা স্বীকৃত নিয়ম হতে হবে।এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কোনটি সঠিক নিয়ম? নিয়মগুলো কি পরস্পর সাংঘর্ষিক নয়? অবশ্যই নিয়মগুলো একে অপরের সাংঘর্ষিক নয়। তবে প্রতিটি নিয়মই স্বীকৃত নিয়ম হতে হবে উত্তর মিলতে হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content