যে কোনো মূল্যে কিশোর গ্যাং বন্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বন্ধে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকাও প্রত্যাশা করেন সরকারপ্রধান।রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।

কিশোর গ্যাং দমনে র‌্যাবের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো বাবা-মায়ের। সন্তান কাদের সাথে মিশছে সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
দেশব্যাপী অপরাধ জগতের ভয়ংকর আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। ছোট ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধে জড়িড়ে পড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাং সদস্যদের উৎপাত দিন দিন বেড়ে চলেছে।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে ১২ দফা সুপারিশ করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় সারাদেশের ৬৪ জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় পাঁচ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। কেবল রাজধানী ঢাকাতেই সক্রিয় ৫০ কিশোর গ্যাং। সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার হবে। এর মধ্যে রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা সহস্রাধিক।
অভিযোগ রয়েছে, বেশির ভাগ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মদদ আছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় বড় ভাই, রা।