প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৪৯:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
বেলহাজ উদ্দিন (বাঁধন), বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া-হাটিকমরুল মহাসড়কের ধারে শত শত কৃষক বসে আছেন। তাদের সামনে বিভিন্ন আকারের বাঙ্গি, তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া, লাউ সহ নিজ জমিতে ফলানো বিভিন্ন কৃষি পণ্য।
সদ্যই তোলা হয়েছে খেত থেকে। একদম টাটকা। বিক্রির জন্য হাঁকডাক দিচ্ছে কৃষক রা। এই ডাকে সাড়া দিয়ে বাস, ট্রাক, পিক-আপ, প্রাইভেট কার থামিয়ে ক্রেতারা নামেন। কিনে নেন তরতাজা বাঙ্গি, তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া, লাউ সহ বিভিন্ন কৃষি পন্য। দামেও খুব সস্তা।
তরমুজ বিক্রেতা কলেজ ছাত্র মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজ ঈদের ছুটি থাকায় বাবার কাজে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সদ্য ক্ষেত থেকে তোলা তরমুজ বিক্রি করছেন তিনি। ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় ও দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষ কে টাটকা তরমুজ, বাঙ্গি খাওয়াতে পেরে খুশি মুজাহিদ।
রাজশাহী থেকে ঢাকা গামী যাত্রী সবুজ হোসেন বলেন, আমি বেশ বড় সাইজের ২টি তরমুজ ও ১টি বাঙ্গি ১৪০ টাকা দিয়ে কিনেছি এবং কৃষকের গিয়ে সাথে তরমুজ ক্ষেত দেখতে গিয়ে ক্ষেতে বসে তরমুজ ও খেয়েছি। কখনো ভাবি নাই গাড়ী থেকে নেমে তরমুজ ক্ষেতের আইলে বসে টাটকা তরমুজ খেতে পারব। আমরা বন্ধুরা কিছু ছবিও উঠিয়েছি আমাদের খুবই ভালো লাগছে। এ অনুভূতি মুখে প্রকাশ করার মত নয়। বিক্রেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন,
বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর থানার মহাসড়কের পাশেই বাঙ্গি-তরমুজের বাজার বসিয়েছি আমরা কৃষক রা। চলনবিলঘেরা নাটোরের এই দুই উপজেলায় বাঙ্গি-তরমুজের চাষ বেশি হয়। অনেক কৃষক রসুনের ‘সাথি ফসল’ হিসেবে এই দুই ফল চাষ-আবাদ করেন। তরমুজ-বাঙ্গির দাম ভালো থাকায় খুশি আমরা কৃষক রা।