• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চাকরি-বাকরি

    মানবিক পুলিশ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল শওকত হোসেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে

      প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ২:০৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ আঃ রহিম জয়, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

    ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ মানবিক পুলিশ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল শওকত হোসেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ১৬ এপ্রিল সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা তার চাকরিচ্যুতির আদেশে স্বাক্ষর করেন। এবং সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের দপ্তরে এ আদেশ পাঠানো হয়েছে।
    আদেশে বলা হয়েছে, ‘৭১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

    এছাড়া অভিযুক্ত (শওকত হোসেন) শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় এবং বেওয়ারিশ মানুষ নিয়ে মানবিক কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, এমন বক্তব্য লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে’।

    শওকত হোসেন নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা। ২০০৫ সালে তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। ২০০৯ সালে ঢাকা থেকে বদলি হন রাঙামাটিতে। সেখান থেকে বদলি হয়ে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে। চাকরির পাশাপাশি তিনি তিন বছরের ডিপ্লোমা এবং দুই বছরের প্যারামেডিক্যাল কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি চট্টগ্রামে অসহায়, দুস্থ ও বেওয়ারিশদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে প্রশংসিত হন।

    দীর্ঘদিন নিভৃতে কাজ করে যাওয়া শওকত হোসেন ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর পুলিশের কল্যাণ সভায় রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় মানুষদের সেবা দেওয়ার বিষয়টি তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের সামনে উপস্থাপন করেন। তখন শওকত হোসেনের মানবিকতার বক্তব্য শুনে কমিশনার ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ গঠন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সিএমপিই সর্বপ্রথম এমন উদ্যোগ চালু করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।

    ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ডবলমুরিং থানা এলাকায় এক মাহফিলে অতিথি হিসেবে গিয়ে তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যের জেরে পরে তাকে দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে বদলি করে কর্ণফুলী থানায় পাঠানো হয়।

    এছাড়াও শওকতের অনেক কর্মকাণ্ডও প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। তিনি পুলিশের চাকরি করলেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। সে সময় তিনি রোগীদের নিয়ে ভিডিও করতেন। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে শওকত ভিডিওতে আগ্রহী। এই ভিডিও অর্থ উপার্জনে সহায়ক। বললেন, ফেসবুক ও ইউটিউবে মনিটাইজেশন না থাকলে হয়তো ইদানীং এতো মানবিকতা চোখে পড়তো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের অভিমত, যার যেটা কাজ তাঁকে সেটা করতে হবে। না হলে শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকে না।

    সিএমপির উপকমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আবদুল ওয়ারীশ বলেন, কনস্টেবল শওকত হোসেনের চাকরিচ্যুতির আদেশ হয়েছে। তিনি চাইলে এ আদেশের বিষয়ে আপিল করতে পারেন সিএমপি কমিশনারের কাছে। এছাড়া চাইলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালেও যেতে পারেন।

    আরও খবর

    Sponsered content