তাহিরপুরে বসতবাড়িতে ডুকে বৃদ্ধ মা-মেয়েকে পিটিয়ে  গুরুতর আহত, থানায় অভিযোগ দায়ের

তাহিরপুর প্রতিনিধি::

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পুর্ব বিরোধের জের ধরে বসত বাড়িতে ডুকে মাফিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা ও তার মেয়ে সামিয়া বেগমকে মারপিট করে গুরুতর আহত করাসহ বসতঘর ভাংচুর ও টাকা লুটের করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পৈন্ডুপ গ্রামে।
আহত বৃদ্ধা পৈন্ডুব গ্রামের সামছুজ্জামানের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০) ও তার মেয়ে সামিয়া বেগম (২০)। অভিযুক্ত দুলাল মিয়া একই গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে আহত বৃদ্ধা মাফিয়ার স্বামী সামছুজ্জামান(৬২) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ দুলাল মিয়াসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পৈন্ডুপ গ্রামের সামছুজ্জামান ও দুলাল মিয়ার পরিবারের লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী চলছিল। রবিবার সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে সামছুজ্জামানের স্ত্রী মাফিয়া ও মেয়ে সামিয়া গোসল করতে গেলে এ সময় দুলাল মিয়ার ছেলে আবুল হায়াত(৩৫), কাজী হায়াত(৩০), হাসান মিয়া(২৬) ও চাল চান(২৪) ও গোসল করতে নদীর ঘাটে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নদীর ঘাট থেকে বাড়িতে দুলাল মিয়া ও তার ছেলেরাসহ ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সামছুজ্জামান এর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বসত বাড়িসহ ঘরে থাকা সুকেস, মিছরিপ, টিভি ভাংচুর করে। এ সময় সামছুজ্জামানকে বাড়িতে না পেয়ে তার বৃদ্ধ স্ত্রী মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে সামিয়া বেগমকে বসতঘরে ডুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করে। শুরু হয় নয়” হামলাকারীরা হামলাকারী দুলাল মিয়া মিসরিপের ভিতরে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে আহতদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধা মাফিয়া ও সামিয়া উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দুলাল মিয়া জানান, আমি ঘটনার সময় ছিলাম না, আমার ছেলেরা রাগান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতে আহতের স্বামী বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।