• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    পটিয়া শ্রীমাই খালের বালুমহাল ইজারা নিয়ে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশংকা মাটি ও  বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে ইউএনও 

      প্রতিনিধি ২ মে ২০২৩ , ৬:২৯:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

    চট্টগ্রামের পটিয়ায় বালু মহালের ইজারার স্থানের পরিবর্তে অন্য স্থান থেকে বালু ও মাটি কাটা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে গ্রামের লোকজন ও ইজারাদারের লোকজনের মাঝে এ উত্তেজনা দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে গতকাল রোববার পর্যন্ত মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে গতকাল ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে কানুনগো মৃদুল শশী চাকমা ও সার্ভেয়ার সোহেল রানাসহ সংশ্লিষ্টরা কার্যাদেশে উল্লেখিত ইজারাকৃত দাগ সমূহ পরিমাপ করেন। এসব দাগে বাড়িঘর ও একটি মরা খালের অস্থিত্ব পাওয়া যায়। এরপরই মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই-২ বালু মহাল ইজারা নিয়ে খালের অন্য স্থান থেকে মাটি ও বালু কেটে নিচ্ছে ইজারাদারসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে খালের পাশে পারিগ্রাম এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। পারিগ্রামের বাসিন্দারা জানান, ওই গ্রাম রক্ষায় গত কয়েক বছর আগে শ্রীমাই খালের সিট মোতাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী মুল খাল খনন করেন। এর ফলে পারিগ্রামের অবশিষ্ট বসতি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। গত অর্থ বছরে হাইদগাঁও ও বাহুলী পয়েন্ট ইজারা দেওয়া হলেও এ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চলমান ১১’শ ৫৮ কোটি টাকার খাল খনন প্রকল্পের কারনে এ পয়েন্ট ইজারা দেওয়া হয়নি। কিন্তু ইজারাদার বাহুলী মৌজাস্থ শ্রীমাই খাল থেকে মাটি কেটে নিচ্ছিল।

    এদিকে, পটিয়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে প্রবাহমান খাল দেখিয়ে পারিগ্রাম ও লট শ্রীমাই ৭৫ মৌজার বিএস মতে উল্লেখিত দাগে মোট ১১.০৩ একর খালের ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু তাতে মনগড়া চৌহদ্দী উল্লেখ করা হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাটি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত স্থান থেকে স্কেবেটর দিয়ে মাটি কেটে পাচার করেছে। কার্যাদেশ মোতাবেক স্কেবেটর ব্যবহারেরও কোন সুযোগ নেই।

    এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম জানান, রবিবার সরেজমিন সার্ভে করা হয়েছে। ইজারাকৃত দাগে মানুষের বাড়িঘর ও মরা খাল রয়েছে প্রবাহমান কোন খাল নেই। এ কারণে সেখানে ইজারা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ইজারা দেয়ার আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি বছর ইজারার জন্য আগের প্রতিবেদন অনুসরণ করে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সে অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গেছে। পানির প্রবাহ না থাকলে ইজারা দেয়ার সুযোগ নেই। তাই ইজারার কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করা হবে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content