• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • জাতীয়

    বাগমারা’য় ভুমিহীনদের মধ্যে সরকারি বাড়ি বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৩ মে ২০২৩ , ১:১৭:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো: জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ রিপোর্টার

    রাজশাহীর বাগমারায় মজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দকৃত পাকা ঘর বিতরণে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপসহকারী কমিশনার (ভুমি) মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
    ওই ঘটনায় উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের বিধবা নারী জমিলা বিবি বাদী হয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে উপসহকারী কমিশনার (ভুমি) মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ব্যাপী অসহায় ও ভুমিহীনদের স্থায়ী বসবাসের জন্য খাস জমি গুলোতে পাকাবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
    তারই ধারা বাহিকতায় উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের শহরতলিতে অসহায় ভুমিহীনদের জন্য ১৪ পরিবারের জন্য পাকাবাড়ি নির্মাণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
    পাকাবাড়ি নির্মাণ শুরুর পর পরই উপসহকারী কমিশনার (ভুমি) মোস্তাফিজুর রহমান এলাকায় কিচু টাউট বাটপারদের সাথে হাত মিলিয়ে অর্থের বিনিময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে মিথ্যা তথ্যা দিয়ে অধিকাংশ ভুমিহীনদের উচ্ছেদ সেখানে কিছু প্রভাবশালীদের মধ্যে ঘর গুলো বিতরণ করেছেন বলে সেখানকার ভুমিহীনরা অভিযোগ করেছেন।
    স্থানীয় ভূমিহীনদের অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম শহরতলিতে ১ নং খাস খতিয়ানের ৯৮৬১ দাগে ৪৫ ডেঃ জমি বাংলাদেশ সরকার বাহাদুরের নামে রের্কড রয়েছে।
    গত ২০০১ সালে জামায়াত-বিএনপি’র জোট সরকারের আমলে ক্ষমতার দাফটে ও প্রতারোনার মাধ্যমে তৎকালীন বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা ফরহাদ মন্ডল, হায়দার আলী ও হাবিবুর রহমান সরকারী সম্পত্তি গুলো ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে ভুমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা করেছিলেন।
    সেই সময়ে সেখানে বসবাসরত আট ভুমিহীন পরিবারের পক্ষে প্রতিবন্ধী খাজা ময়েন উদ্দীন বাদী হয়ে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর তথ্য গোপনের মাধ্যমে সরকারী সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ আনেন।
    দীর্ঘ ১২ বছর পর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক মহদোয়গন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের নামে সরকারী লীজ বাতিল করেন এবং বসবাসরত ভুমিহীনদের মধ্যে জমি গুলো লীজ প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।
    সেই মোতাবেক তৎকালীন উপসহকারী কমিশনার ভুমি তদন্তের মাধ্যমে ভুমিহীনদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমির) দপ্তরে পাঠিয়ে দেন। রহস্যজনক কারনে ভুমিহীনদের কাজ গুলো আটকে যায়। তখন থেকেই ভুমিহীন পরিবার গুলো সেখানেই বসবাস করে আসছেন।
    অভিযোগকারী জমিলা বিবিসহ একাধিক ভুমিহীনরা জানান, পাকাবাড়ি নির্মানের জন্য উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে বাড়ি দিবে বলে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। কিছু দিন পর থেকেই উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এলাকায় চিহ্নিত টাউট-বাটপারদের সাথে হাত মিলিয়ে অর্থের বিনিময়ে উপজেলা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে প্রকৃত ভুমিহীনদের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর উপহারের পাকাবাড়ি গুলো যাদের থাকার মত বাড়ি রয়েছে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

    এছাড়াও একই পরিবারের মধ্যে দ্ইুটি করে বাড়িসহ ইটের পাকা বাড়ির মালিকদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে বলে ভুমিহীনরা জানিয়েছেন।
    যার কারণে প্রকৃত ভুমিহীনরা প্রধান মন্ত্রীর অনুদান থেকে বঞ্চিত হন। তিনি অবিলম্বে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    ভুমিহীন অভিযোগ করেন, সরকারী ওই সম্পতি উদ্ধারের জন্য আমাদেরকে বেশ কয়েকবার মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে যেতে হয়েছে। অথচ সরকার ভুমিহীনদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করলেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারনে সেখান থেকে ছিটকে পড়ছে ভুমিহীনরা।
    তারা অবিলম্বে তদন্তের মাধ্যমে পূর্বের বসবাসরত ভুমিহীনদের মধ্যে সরকারের তৈরী করা বাড়ি গুলো বিতরণের দাবী জানিয়েছেন তারা।

    এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা করা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমন চৌধুরী ভুমিহীনদের বাড়ি বিতরনের নামের তালিকা তৈরীর কথা স্বীকার করলেও তিনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান প্রথমে কর্ণপাত না করলেও পরে তিনি প্রকৃত ভুমিহীনদের মধ্যে বাড়ি গুলো বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content