• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    ঘূর্ণিঝড় মোখা” আঘাত হানতে পারে ১৩ মে

      প্রতিনিধি ১২ মে ২০২৩ , ৬:২৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    আনিছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার

    নিজের প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে স্হান ত্যাগ করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা ১২ ই মে দিবাগত রাত ১২ টা ২৬ মিনিট। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থিত তীব্র আকার ধারন করে কিছুটা উত্তরে অগ্রসর হবে।

    ১১ ই মে রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার থেকে ৯২০কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১০৫ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। ঐ সময় একই স্থানে সাগর বেশ উত্তাল থাকবে। এটি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে প্রবল শক্তিসঞ্চয় করে আজ রাতে ক্যাটাগরি ১ শক্তিসম্পন্নতে পরিনত হতে পারে।

    বাংলাদেশ উপকূল থেকে এখনও অনেক দুরে থাকায় এর কোন প্রভাব দেশের উপকূলে পড়েনি। তবে আগামী ১৩ ই মে থেকে এর প্রভাব পড়তে পারে। এসময় মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার যেন কোনভাবেই গভীর সাগরে যাওয়ার জন্য বের না হয় সতর্কতা দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকাল থেকে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।

    প্রাথমিকভাবে (মোখা) উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে, এবং পরবর্তীতে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তির দিকে এটি ক্যাটাগরি ৩ বা ৪ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতে পারে। এটি আগামী ১৪ ই মে দুপুর থেকে বরিশালের ভোলা কক্সবাজার ও রাখাইন এর ভেতরে যেকোনো উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে অতিক্রম করতে পারে। তবে আঘাত হানার স্থান পরিবর্তন হতেও পারে কিছুটা । এ সময় পর্যন্ত কক্সবাজার তার পার্শ্ববর্তী উপকূল বেশি ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিক্রম করার ২ দিন পর দেশের অনেক এলাকার উপর শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ঝুমুল আসতে পারে। যাতে প্রচুর, কালবৈশাখী, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থাকতে পারে। শিলাবৃষ্টি হওয়া স্থান সমূহ বেশি আক্রান্ত হতে পারে, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক এলাকা।

    ভোলা থেকে কক্সবাজার উপকূল সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করার সময় দেশের কোন কোন উপকূলীয় জেলার উপর দিয়ে প্রবল আকারে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গতিপথ পরিবর্তন করে এটি চট্টগ্রাম আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূল এলাকায় বসবাসরত ও জেলেদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এর ডায়ামিটার অনেক বড় হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র থেকে কয়েকশত কিলোমিটার দূরের এলাকায়ও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

    বৃষ্টিপাতের প্রভাবে আগামী ১৩ ই মে থেকে ১৬ ই মে এর ভেতরে,চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এইসকল এলাকায় গড়ে ১০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এখানে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা বিভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম হতে পারে। জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি দেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত করলে, আঘাত করা স্থানে ১২ থেকে ১৮ ফুট উচ্চ বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হতে পারে। পাহাড়ধ্বস ঘূর্ণিঝড় টি চট্টগ্রাম আঘাত করলে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভয়াবহ পাহাড়ধ্বস এর আশংকা করা রয়েছে।

    দেশের সকল সমুদ্র বন্দরের জন্য (বিএমডি) ২ দুই নম্বর দুরবর্তী সংকেত বহাল রেখেছে, পরবর্তী সময়ে সংকেত বাড়তে ও পারে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে। ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘন্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বা তারচেয়ে অধিক গতিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ঝড় সর্তকীকরন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ঊদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে।

    আরও খবর

    Sponsered content