• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    লামায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জন সচেতনতা মুলক অবহিতকরণ

      প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৩ , ৯:৫৮:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :

    পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলায় খাদ্য বিষয়ে জন সচেতনতা মুলক অবহিতকরণ কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৭ মে) বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন ও মিল্কি রানী দাশ, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুব্রত দাশ, থানা পুলিশের এসআই মো. মাহফুজ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মাধবী লতা আসাম সহ প্রমূখ।

    এতে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহণ করেন। কর্মসূচি তে খাদ্য কর্মকর্তা সুব্রত দাশ নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা মুলক বিস্তারিত তুলে ধরেন।বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

    লামা উপজেলা খাদ্য বিষয়ে জন সচেতনতা মুলক অবহিতকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে অতিথিরা জনসাধারণের উদ্দেশ্য বলেন, নিরাপদ রান্না করা খাদ্য কাঁচা খাবারের সঙ্গে সামান্য সংস্পর্শের মাধ্যমে দূষিত হতে পারে। এই দূষিত সরাসরি হতে পারে, যেমন কাঁচা বা অল্প রাঁধা মুরগির মাংস যদি রান্না করা খাবারের সংস্পর্শে আসে। যে পাত্রে কাঁচা মাংস রাখা হয়, সেই পাত্রে মাংস রাখা এবং যে ছুরি দিয়ে মুরগি কাটা হয় সেই ছুরি দিয়ে রান্না করা ঠিক নয়। এতে রোগজীবাণুর বিস্তার ঘটতে পারে।

    কাঁচা খাদ্য যেমন মাছ, মাংস প্রভৃতি রান্নার পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। বাড়ির পোষা পশু-পাখি হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে বা ধরে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাদ্য তৈরি করা উচিত নয়। এতে রোগজীবাণু খাদ্যের মধ্যে বিস্তার ঘটাবে। যেসব ন্যাকড়া দিয়ে রান্নাঘর ধোয়ামোছা করা হয়, পরবর্তী সময়ে সেগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে। রান্নার কাজে ব্যবহৃত পাত্রগুলোও প্রতিদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। মেঝে পরিষ্কারের ন্যাকড়াও প্রতিদিন পরিষ্কার করা উচিত।

    পোকামাকড়, ইঁদুর ও অন্যান্য প্রাণী খুব সহজেই খাদ্যে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। কাজেই খাদ্য রাখার পাত্রগুলো ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে যেন পোকামাকড় বা অন্যান্য প্রাণী খাদ্যের ওপর বসতে না পারে এবং মুখ দিতে না পারে। পান করার জন্য যেমন বিশুদ্ধ পানি দরকার, তেমনই খাদ্য তৈরির জন্যও বিশুদ্ধ পানি গুরুত্বপূর্ণ। সরবরাহকৃত পানির ব্যাপারে সন্দেহ হলে রান্নার আগে তা অবশ্যই ফুটিয়ে বা সেদ্ধ করে নিতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের খাবার তৈরির ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের প্রতি অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আসুন, খাদ্য নিরাপদ রাখতে নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যকেও সচেতন করে তুলি।

     

    আরও খবর

    Sponsered content