• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • ইসলামী জীবন

    বাংলাদেশ জামাত ইসলামের উৎপত্তি

      প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২৩ , ১:১৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    লেখক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান:

    জামাত ইসলাম সংগঠনটি হলো বাংলাদেশের একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল। এই দলের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে একটি ইসলামিক শরিয়া আইন মোতাবেক দেশ গঠন করা। এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯সালে। মূলত এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনকালীন।প্রথমে এই দলটির নাম ছিল জামাত ইসলামী হীন। ব্রিটিশ আমলে ভারতের মুসলমান দুটি দলে বিভক্ত হয়েছিল এলটি হলো Indian National Congress আরেকটি হলো মুসলিম লীগ। তখন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল মুসলিমদের জন্য। মুসলিম লীগ মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা শুরু করেন তখন।ব্রিটিশ শাসন আসার পূর্বে প্রতিটি মুসলিম দেশ বা রাজ্য ইসলামিক আইন মোতাবেক পরিচালিত হত। কিন্তু 300 শতাব্দীতে এসে খেলাফতের পতনের ঘটে। মুসলিমরা অভিভাবক হারিয়ে ফেলে। এবং খ্রিস্টানদের তৈরি করা আদর্শকে তাদের আদর্শ হিসেবে লালন করতে শুরু করে ব্যক্তিগত এবল রাষ্ট্রের জীবনে। ভারতবর্ষে মুসলিমদের ও এমন দেখা দিচ্ছিল। কিন্তু দুটি দলেই ব্রিটিশদের পরিচালিত আইন দ্বারা পরিচালিত হতো। যার ফলে এখনো দেখা যায় বাংলাদেশ পাকিস্তান ব্রিটিশদের পরিচালিত আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।কিন্তু আমরা তো মুসলিম আমাদের জন্য আল্লাহতালার নির্দিষ্ট একটা আইন তৈরি করে দিয়েছেন। যুগে যুগে এই আইন দ্বারা মুসলিমরা পরিচালিত হয়েছিল আল্লাহর নির্দেশিত আইনে।তাইলে কেন আমরা আল্লাহর নির্দেশিত আইন বাদ দিয়ে ব্রিটিশদের তৈরি আইন পরিচালিত করবো নিজেদের মধ্যে। একটা হল একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামের আদর্শকে হত্যা করে ফেলা। এসব বিষয়ে মানুষকে সংশোধন করার জন্য আল্লাহর পরিচালিত আইন কায়েম করার জন্য।তৎকালীন যুগের আলেমদেরকে নিয়ে সৈয়দ আবুল আলা মওদুদ রহিমাহুল্লাহ উক্ত সংগঠনিক গঠন করেন। ১৯৪১ সালের ২৬শে আগস্ট লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে রাজনৈতিক ইসলামিক আন্দোলনের দল হিসাবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হলে এ দলটি ও দুটি দল বিভক্ত হয়। একটি হলো জামাত ইসলামী পাকিস্তান আরেকটি হলো জামাত ইসলামী হীন।পাকিস্তানি আমলে এই বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানি হিসেবে এখানে ও একটি শাখা তৈরি হয়। এই শাখাটির নাম দেওয়া হয়েছিল জামাত ইসলামী পূর্ব পাকিস্তান এ নামটা এখন বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম নামে প্রচলিত হয়। তৎকালীন এই দলটি পাকিস্তান সরকারের কাছে দাবি জানান দেশটি ইসলামিক আইন মোতাবেক পরিচালনা করার। তখনকার সরকার জামাতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করেন এই জন্য। এবং এই সংগঠকে জুলুমের স্বীকার করা হয়।এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদীকে মৃত্যুদণ্ডর আদেশ দেওয়া হয়। পরে এটা আবার প্রত্যাহারন করা হয়। ১৯৬২সালে আইয়ুব করে তৈরি আইনের বিরোধিতা করার কারণে ১৯৬৪সালে ৪ জানুয়ারি এই দলটির উপর আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মাওলানা মওদুদীসহ ৬০জন জমাত নেতাকর্মি কে গ্রেফতার করা হয়।এদের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ১০ জন ছিলেন জামাত নেতা। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আজম।অক্টোবর মাসে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়।১৯৭১সালে যুদ্ধ শুরু হলে অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর পাশাপাশি এই দল অংশগ্রহণ করেন।যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ সরকার সব ইসলামী দল নিষিদ্ধ করেন।তখন জামাত ইসলাম ও নিষিদ্ধ হয়।জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরগণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইসলামিক দল গুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়।তখন থেকে জামাতে ইসলামী আবার রাজনীতি করা শুরু করেন। এবং বাংলাদেশে আবার নতুন করে জামাত ইসলামের জাগরণ শুরু হয়। ২০০১সালের নির্বাচনে বিএনপি জামাত ইসলাম ঐক্য হয়ে ক্ষমতায় আসেন। জামাত ইসলাম থেকে দুইজনকে মন্ত্রীরা আসন ও দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জামাত ইসলামের এমপি মন্ত্রীরা ছিল দুর্নীতিমুক্ত। ২০০৯সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ইসলাম বিরোধী ক্ষমতায় আছেন। এবং এ দলের প্রথম তার টার্গেট ছিল জামাত ইসলামকে ধ্বংস করে দেওয়া।ক্ষমতায় এসে তারা জামাত ইসলামের নেতা কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করে দেয়। এবং জামাতের নেতাদের কে যুদ্ধাঅপরাদী বলে মৃত্যুদণ্ড ও কারাদণ্ড দেয়া শুরু করেন।এবং মিডিয়াকর্মীদেরকে জামাতের বিরুদ্ধে লাগিয়ে জামাতকে বিলীন করার চেষ্টা করেন। তারপর ও অনেক নির্যাতনের মোকাবেলা করে জামাত ইসলাম এখনোও ঠিকে আছে।

    আরও খবর

    Sponsered content