• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    বান্দরবানে বন্য হাতির আক্রমণ কৃষক আয়ূব আলী প্রাণে রক্ষা পেলেও রক্ষা পায়নি গাছফসল 

      প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২৩ , ১২:০৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:

    বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের কুদুখোলা সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় এখন কৃষক পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে ১০–১৫টি হাতির একটি পাল সেই পাকা ধান খেতে রাতে আশে পাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তারাই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে ১০-১৫টি হাতির একটি দল কুদুখোলার দরিদ্র অসহায় বৃদ্ধ হতভাগ্য কৃষক আয়ূব আলীর মাঠির ঘরে চারদিক থেকে আক্রমন করে মাটির দেওয়াল ভেঙে ঘরে বস্তায় সংরক্ষিত ৪৫০মন পাকা ধানের বস্তা ঘর থেকে বের করে বস্তা ছিড়ে ধান খেয়ে ও বাগানে থাকা কয়েক শত গাছের চারা এবং বোরো ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে। যার ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

    অসহায় বৃদ্ধ দরিদ্র কৃষক আয়ূব আলীর ঘরে ও বাগানে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় চাপালিশ, ডেওয়া, অর্জুন, জারুল, পলাশ, জলপাই, বহেড়া ও আকাশমণির ২৪ হাজার চারা খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।

    অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধ কৃষক আয়ূব আলী ও স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ‘ধানটা পাকার সময় হাতির দল ধান খাইতে চলে আসে। তখন দিন–রাত জেগে আমরা পাহারা দিয়ে থাকি। এখন হাতি আমাদের পাহাড়ে আছে। তাই সবাই ফসল নিয়া দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। জানি না ভাগ্যে কী আছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ধান পাকার সময় বন্য হাতির পালটি গভীর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ফসলি জমিতে হানা দেয়।

    তাই কৃষকেরা রাত জেগে ফসল রক্ষা করতে পাহারা বসিয়ে। হাতির দল জমিতে নামতে চাইলে শব্দ করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে ও কেরোসিনের মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। বন্য হাতি প্রতিরোধে সরকারিভাবে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মানবিক বিবেচনা করে সুদৃষ্টি দিবেন। বন্য হাতির তাণ্ডবে আহত ও ফসলের ক্ষতি হওয়া ব্যক্তিদের বন বিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আকুতি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় হতভাগ্য দরিদ্র বৃদ্ধ কৃষক আয়ূব আলী।

    বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বন বিভাগের কাছে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। হাতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোতে মশাল জ্বালাতে কেরোসিন তেল ও টর্চ দেওয়া জরুরি প্রয়োজনে।

    আরও খবর

    Sponsered content