প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২৩ , ৪:৩৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শিবলী সাদিক ব্যুর প্রধান রাজশাহী।
গত ৫/৬/২৩ ইং তারিখে রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানায় একটি ১০০ গ্রাম হিরোইন মামলা রুজু হয়। এই মালায় আসামী করা হয় বাবর আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে। বাবর আলী রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানাধীন মৃত আফসার আলীর ছেলে। বাবর আলীর পরিবারের দাবি তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর বাবর আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার বিভূতি ভুষণ বানার্জীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগে বাবর আলীর পরিবার উল্লেখ করে বাবর কে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই অভিযোগ সূএ ধরে কাশিয়াডাঙ্গা জোনের ডিসি নিজে তদন্তে নেমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে। তদন্তে বেরিয়ে প্রকৃত ঘটনা ও ঘটনায় সাথে জড়িতদের নাম।দামকুড়া থানার সেকেন্ড আফিসার এসআই আকবর,আব্দুল মোমিন,মোঃ সানোয়ার হোসেন মান্না,আব্দুল হাই টুনু,মোঃ মোমিনের নাম। এরপর কাশিয়াডাঙ্গা উপ -পুলিশ কমিশনার এর নির্দেশ গত ১০/৬/২৩ ইং তারিখে রাতে গাোদাগাড়ী ও দামকুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ সানোয়ার হোসেন মান্না, মোঃ আব্দুল হাই টুনু,ও মোঃ মোমিন কে গ্রেফতার করে দামকুড়া থানা পুলিশ। সানোয়ার হোসেন মান্না ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এরপর তাদের কে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বাবর আলীর মায়ের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো আব্দুল হাই টুনুর। আর এই বিরোধের জের ধরেই বাবর আলী কে দামকুড়া থানার এসআই আকবরের এর সহযোগিতায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ১০০ গ্রাম হিরোইনের মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। এস আই আকবরের নামে অভিযোগ উঠেছে দামকুড়া থানাধীন সোনাইকান্দি, খোলাবোনা, কসবা,বেড়োপাড়া এলাকার মাদক কারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নেয়। এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার গভীর সাক্ষ্যতা আছে। এসব এলাকা গুলোতে মাদক বিরোধী অভিযানের পূর্বে এসআই আকবর মাদক কারবারীদের তথ্য দিয়ে থাকে। যে কারনে মাদক কারবারীরা অভিযানের পূর্বেই সতর্কত হয়ে যাই। কিন্তু জনমতে প্রশ্ন থেকেই যায় এতো বড় আপরাধ করেও কি ভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে এসআই আকবর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর জানাই আমি এই বিষয়ে অবগত নাই। বিষয় টি ডিসি স্যার দেখছে।