প্রতিনিধি ১৩ জুন ২০২৩ , ৭:৪০:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শেখ নাসির আহমেদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এসএসসিতেই সরকারি চকরীর বয়স শেষ। প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী ছাত্র ছাত্রীরা । ১২ জুন সোমবার সকাল ১১টায় এ বিক্ষোভ করা হয়। উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কান্তনগর বিনয় ভূষণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর বয়স বাড়িয়ে রেজিষ্ট্রেশন ফরমে ইচ্ছে মত জন্ম তারিখ বসিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান তাদের যে জন্ম তারিখ বসানো হয়েছে তাতে করে ঐ শিক্ষার্থীদের হাইস্কুল না পেরোতেই ২৬ বছরের উপরে বয়স হয়ে গেছে। এমনকি কারো কারো সরকারী চাকুরীর বয়সও প্রায় শেষের পথে। এসময় উপস্থিত অভিভাবকরা বলেন ২০২১সালে রেজিষ্ট্রেশন রফমে ছেলে মেয়েদের বয়সসীমা ২০-২৬বছর দেখা দেওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনের কাছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে প্রধান শিক্ষক জানান যে, বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে। কিন্ত দীর্ঘ দু বছর পার হয়ে গেলেও বিষয়টি এখন পর্যন্ত সংশোধন হয়নি। আসলে টাকা কামানোর জন্য এটা ছিলো তাদের পরিকল্পিত ফাঁদ।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র ছাত্রীরা বলেন আমরা প্রধান শিক্ষকের নিকট রেজিষ্ট্রেশন ফরমে উল্লেখিত বয়স সংশোধনের কথা বললে প্রধান শিক্ষক আমাদের ১৫জন ছাত্র ছাত্রী নিকট থেকে বয়স সংশোধনের জন্য দুই হাজার করে টাকা লাগবে বলে জানান।
পরে বিষয়টি আমাদের পিতা মাতাকে অবগত করলে অতিকষ্টে ধার দেনা করে আমাদের পিতা মাতা সেই টাকা প্রধান শিক্ষক কে দিয়ে দেয়। কিন্তু দীর্ঘ দুবছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের বয়স সংশোধন না হওয়ায় আজ আমরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে কৌশলে হাওয়া হয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সঠিক সমাধানের দাবীতে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
খবর পেয়ে সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা ঘরে ফিরে যান।