• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • শিক্ষা

    শাল্লায় ট্যাবকান্ডের পর ওই বিদ্যালয়ে এবার নিয়োগ জালিয়াতি

      প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২৩ , ১১:১৫:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাল্লা প্রতিনিধি

    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহিম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব ও খন্ডকালীন শিক্ষক মোনতাসির আহমেদ (রমজুদ) জড়িত থাকার পর এবার নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উটেছে। মহিম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ নিয়ে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায় জন্মনিবন্ধনে সুয়েল মিয়া (৩৩) নামের এক যুবককে নিয়োগ দিয়েছেন বিদ্যালয় নিয়োগ কমিটি কিন্তু এনআইডিতে ওই প্রার্থীর নাম জুয়েল মিয়া ও তার বয়স (৪২)। ৪২ বছরের একজন লোককে এমপিভুক্ত স্কুলে নিয়োগ প্রদান করায় এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযোগ উটেছে ২ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ৪২ বছর বয়সের জুয়েল মিয়াকে জন্মনিবন্ধন ও সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে সুহেল মিয়া নামে নিয়োগ দিয়েছেন স্কুল নিয়োগ কমিটি এবং এসব অবৈধ লেনদেনে দবিরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত বর্তমানে মহিম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মোনতাসির আহমেদ (রমজুদ) জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।

    এই নিয়োগে সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায় জুয়েল মিয়ার এনআইডিতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্পষ্ট দেওয়া আছে ৫ম শ্রেণী পাশ সে অষ্টম শ্রেণী পাশ করল কিভাবে? তা নিয়ে এলাকার চলছে রীতিমতোই সমালোচনা। শুধু তাই নয় জুয়েল মিয়া সুহেল আহমেদ নামের হাতে লেখা যে সার্টিফিকেটটি কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এনেছেন এটাও ভূয়া! যখন সে অষ্টম শ্রেণির পরিক্ষা দিয়েছিল তখন ছিল বোর্ড পরিক্ষা হাতে লেখা সার্টিফিকেটের নিয়ম ছিলনা। এবং কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ফখর উদ্দিন আহমেদও জানিয়েছেন জুয়েল ওয়ফে সুহেল আহমেদ নামের কোন লোককে তারা অষ্টম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট দেয়নি। খুঁজ নিয়ে জানা যায় নিয়োগ কমিটি সুহেল মিয়া নামের যে ছেলেটিকে নিয়োগ প্রদান করেছেন সেই লোকই জুয়েল মিয়া। এনআইডিতে তার নামও জুয়েল মিয়া কিন্তু তার এনআইডি কপি ছাড়াই সংশোধিত জালিয়াতি জন্মনিবন্ধনের আঙ্গিকে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তার এনআইডিতে বয়স ৪২ বছর হওয়া সত্বেও জুয়েল (৪২) নামের লোককে নিয়োগ কমিটি সুয়েল নামে নিয়োগ দিয়েছেন কি কারনে কি স্বার্থে এলাকাজুড়ে জনমনে এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

    এবিষয়ে নিয়োগ কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি অরুণ বরুণ রায় বলেন এব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নাই। আমাদের কাছে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করে দেখব। মহিম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব রতন কুমার বৈষ্ণব বলেন আপনারা যা পারেন লিখতে থাকেন জুয়েলের কাগজে ত্রুটি আছে জুয়েলকে আমরা বাদ দিয়ে দিছি। পরিশেষে তিনি সাংবাদিক সম্পর্কে কটাক্ষ করে কথা বলেন। আফরোজ মিয়া নামের এক লোক বলেন আমি ওই স্কুলে অফিস সহায়ক পদে আবেদন করেছিলাম আমার চাকরি হয় নাই দুর্নীতি তো দুর্নীতির মতই হয়। দুনিয়াতে এইরকমই চলছে। তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি বর্তমানে এই ছয়টি পদই টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়না। ইন্টারভিউ স্যাম্পল মাত্র নেওয়া হয়। তিনি বলেন আমার অভিজ্ঞতাও কম ছিল না এখানে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে টাকার মাধ্যমেই দেওয়া এটা নিশ্চিত আর এটাই বাস্তব,ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে বুঝতে পারায় তাদের নিয়োগ কমিটির কাছে আমি তখনই হার মেনেছি বলে জানান তিনি।

    এদিকে ওই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকেও উক্ত স্কুলের নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে আর এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির পেছনে খন্ডকালীন শিক্ষক মোনতাসির আহমেদ (রমজুদ) জড়িত থাকার বিষয়টিও জানা গেছে। সাংবাদিকেরা নিউজ করলে নিয়োগটি বাতিল হয়ে যেতে পারে এরকম মন্তব্য করে এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য জোড় হাতে অনুরোধ জানান নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব। এর একটি অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। মহিম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি মহিতোষ চন্দ্র দাশের সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন না ধরায় এবিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ডিস্ট্রিক্ট ট্রেইনিং কো-অর্ডিনেটর সারোয়ার জাহান খান বলেন অবৈধ একটি বিষয় এভাবে হয়ে যাবে আমরা কখনোই চাই না এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তিনি বলেন এটা নিয়ে চিন্তা করার কোন কারন নেই আমরা তাদের সুপারিশকৃত ফাইল আটকিয়ে রেখেছি, এনআইডি সমস্যা থাকলে এমনিতেই আউট হয়ে যাবে মহিম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগকৃত প্রত্যেকের কাগজপত্র ভালো করে যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানান তিনি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব বলেন এরকম যদি কেউ জালিয়াতি করে থাকে সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content