• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে টুং-টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা

      প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৩ , ১২:৩৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    অভয়নগর (যশোর)প্রতিনিধি :-

    মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানির সরঞ্জাম জোগান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের অভয়নগরের বিভিন্ন স্থানের কামারশালার কারিগর শিল্পীরা। দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। লোহার আওয়াজ, হাপরের ফোঁসফাঁস আর হাতুড়িপিটার টুংটাং শব্দে মুখরিত এখন উপজেলার সকল কামারপাড়ায় কারিগর শিল্পীগন।
    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, হাপর দিয়ে কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে লাল করে ছোট-বড় নানা আকারের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি ইত্যাদি। নতুন অস্ত্র বানানোর পাশাপাশি পুরনো অস্ত্র শান দেওয়ার কাজও করতে হচ্ছে সমানতালে। ক্লান্তহীনভাবে চলছে কাজ, কথা বলার ফুরসত নেই কারো। এত পরিশ্রমেও তাদের মুখে হাসি ফুটছে। জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কামারশালায় সারা বছরই লোহার তৈরি দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, কোদাল, কুড়াল, কাঁচি পাওয়া যায়। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পুরনো যন্ত্রপাতিতে বেড়েছে শানের কাজ। বিক্রেতারা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বটি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ৬০০টাকা, চাপাতি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় দা, বটি, ছুরি, চাপাতির দাম একটু বেশি।
    উপজেলার তালতলা এলাকার সোহাগ খান কর্মকার জানান, কয়লা সষ্কট ও দা-বটি বানানোর লোহা আর ইস্পাতের দাম বৃদ্ধি। ঈদ এলে আমাদের কেনা বেচা বেড়ে যায়। ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে কাজের চাপে দম ফেলার অবস্থা থাকে না। তবে শানের কাজ বেশি এবং গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এখন সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
    উপজেলার বেঙ্গল গেট এলাকার সুমন কর্মকার জানান, এ মুহূর্তে কারিগর সংকট। এ পেশায় এখন কেউ আসতে চায় না। ঘাটের লেবার দিয়ে কাজ করাতে হয়। গত বছরের তুলনায় কেনা বেচা কম। এ বছর চায়না স্টিলের সরঞ্জাম কিনছে অনেকে। তবে তাদের চেয়ে ভালো মানের জিনিস তৈরি করছেন তারা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে এসে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় খুুশি তারা। বর্তমানে এ পেশাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলে সরাকারি সহযোগিতা কামনা করছেন। তারা বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

    আরও খবর

    Sponsered content