প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৩ , ১:৫১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের
পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের কামাল উদ্দীন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আপন তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাটরা মৌলভী পাড়ার মৃত মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. জামাল (৩৪), মো. কামাল হোসেন (৩০) ও মো. আব্দুস ছবুর (৩৮)। রবিবার (২৫ জুন) কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান একটি জাহাজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, নিহত কামাল উদ্দীন পটিয়া থানাধীন ছনহরা এলাকার বাসিন্দা এবং রাজমিস্ত্রির সহকারী। ২০১৫ সালেল ১২ জুলাই সকাল ৯টায় নিহত কামালের প্রতিবেশি শিশুরা বাড়ির পাশের পুকুরে লাফালাফি করছিল। কামালের বোন ফাতেমা আক্তার দুর্ঘটনা আশঙ্কায় ওই শিশুদেরকে পুকুরের লাফালাফি না করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু অবুঝ শিশুরা তার অনুরোধ না শুনে আরো বেশি লাফালাফি করতে থাকে। তখন ফাতেমা আক্তার পুকুরে একটি ঢিল ছুড়ে মারলে শিশু আল আমিনের গায়ে লাগে। আল আমিন বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। আমিনের মা উত্তেজিত হয়ে নিহতের বোনকে চুল ধরে টানাটানি করে মারধর করে। এর জেরে দুপুরে আল আমিনের আত্মীয়স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কামাল উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা জোবাইর হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের অনুপস্থিতে ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, এ মামলার আসামিরা কর্ণফুলী নদীতে একটি জাহাজে অবস্থান করছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ৭ বছর ধরে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ১ জুন রাত সাড়ে ৯ টায় পটিয়া কলেজ ছাএ সাহেদুল ইসলাম’কে ছনহরা ইউনিয়নের মধ্যেম চাটরা মরহুম মোনাফ সওদাগর বাড়ির আবদুল আলম এর ছেলে ফয়সাল মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছনহরা- বাথুয়া ব্রিজ টিংকু সহ ১০/১৫জন সন্রাসী মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ব্রিজে নিছে ফেলে চলে যায়। এ ব্যাপারে সাহেদুল ইসলাম এর মা বেবি আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ে করে।
এ ব্যাপারে ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী জানান, তার ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে সে বিষয়টি শিকার করে বলেন, তিনি ২৫ জুন মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় কিশোর গ্যাং সহ মাদক কারবারিদের বিষয়ে তুলে ধরেছেন এবং পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।