প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২৩ , ৪:২৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় ২ যুগের বেশি সময় ধরে এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা আর বহু ভুয়া নোংরামী কাজ করে আসছে এক ভন্ড প্রতারক খালিক জগন্নাথপুর উপজেলার নয়াবন্দর এলাকায় তার বসতবাড়ি, কবিরাজ নামধারী এই প্রতারক খালিক বহু মানুষকে করেছে ঘরছাড়া।
আর বহু মানুষকে করেছে স্ত্রী হারা, জানা যায় আজ থেকে বেশ কিছুদিন পুর্বে সে বিশ্বনাথ এলাকার একজন প্রবাসীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অনেক স্বর্নলংকার ও টাকা পয়সা, মানুষের মাঝে ছড়িয়ে ছিটেয়ে দিয়েছে জ্বীন ভুত,আসাম থেকে তালিম নিয়ে এসেছে যাদুটুনা আর ভন্ডামীর সকল কৌশল, অনেক মানুষের কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বর্তমানে নিজ বাড়ীতে খুলে বসেছে কবিরাজীর দোকান।
অনেক প্রবাসীদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা নিয়ে আসছে তাদের পরিবারের কাছ থেকে, বড় অংকের টাকা ছাড়া কথা বলেনা এই ভন্ড জ্বীনের বাদশা খালিক।
রাজীব নামের একজন ভদ্রলোক তার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভাই কি আর বলব লোকটাকে বিশ্বাস করে আমি অনেক ঠকা কেয়েছি এবং তাকে আমি শেষ পর্যন্ত আমার বাড়িতে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দিতে চাইছিলাম।
তবে শেষ পর্যন্ত আমার হাতে পায়ে ধরে আমার কাছে প্রাণ ভিক্ষার জন্য মাফ চাইল। চাইছিলাম সে তার পরেও তার এই সকল কর্মকাণ্ডের মাত্রা দিন দিন আরও বাড়তে শুরু করলো
আর মানুষকে বোকা বানিয়ে ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের টাকা।
জ্বীনের বাদশা খালিক তার এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এলাকার বহু মানুষ রাজ সাক্ষী, সে আসাম, ত্রিপুরা রাজ্য থেকে এসব যাদুটুনা শিখে এসে বহু মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার পরিবার থেকে তাকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
পিতাকে রেখেছে পুত্রের কাছ থেকে দুরে এবং স্বামীকে রেখেছে স্ত্রীর কাছ থেকে দুরে।
খালিকের এই নোংরা কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে একজন লন্ডন প্রবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন এই ভন্ড জ্বীনের বাদশা আমাকে অনেক অনেক নির্যাতন করেছে মানসিক টর্চার করে এই ভন্ড বলে প্রতি অমাবশ্যার ও পুর্নিমা এলে নাকি আমার উপর জ্বীন ছেড়ে দেবে সেই ভয়ে আজ অবধি আমি দেশে আসতে ভয় পাই। এমনকি তিনি প্রায় ১০ বছর যাবত দেশে আসেন নাই।
এমতাবস্থায় এই ভন্ড জ্বীনের বাদশা খালিককে যে কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও তিনি তার শাস্তি দাবী করছেন।
এমনকি তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেংকারীর আসয় বিষয়, এই বয়সে সে এক গ্রামের একজন অবলা সরলা তার মেয়ের সমান মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছে।
অথচ তার ঘরে রয়েছে তার ছেলে মেয়ে।
জ্বীনের বাদশাকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় এনে তার কঠিন শাস্তি দাবী করছেন এলাকাবাসী।