প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৩ , ৬:৩৬:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুর রশিদ কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কলমাকান্দা-গোবিন্দপুর সড়ক সংস্কারের কাজে ধীরগতির ফলে সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এই সড়কটি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়কে কলমাকান্দা সদর, খারনৈ ও রংছাতিসহ তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ সড়কের চাঁনপুর মোড় থেকে এতিমখানা বাজার পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে হাটু সমান পানি থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকজন ঝুকি নিয়ে গাইড ওয়ালের ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচল করছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় জানান, গত দুই মাস আগে এই সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। পুরাতন ইট ও নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে কোন রকমে ১৫-২০ দিন কাজ করে ঠিকাদার। এ সময়ে চাঁনপুর মোড় থেকে সড়কের দুই পাশে প্রায় ৫০ মিটার গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়। পরে সড়কের পুরাতন ইট তোলে সড়কটি খুঁড়ে রাখে চলে যায় ঠিকাদার। আর এরপর থেকে ওই সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সোয়া ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে কলমাকান্দা থেকে গোবিন্দপুরপর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়। এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার সারওয়ার জাহান নামের এক ঠিকাদার। কাজের শুরুতেই ওই সড়কে পুরাতন ইট ব্যবহার নিয়ে স্থানীয়রা মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে। পরে তিনি সরেজমিনে গিয়ে এ বিষয়টি ঠিকাদারকে বলা হলে তিনি আবার নতুন ইট দিয়ে কাজ শুরু করেন। কিছুদিন কাজ করার পর আর কোন কাজ না করে ফেলে রাখা হয়। পরে দ্রুত এই কাজ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলার প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, চাঁনপুর মোড় থেকে প্রায় ৫০ মিটার সড়কের দুই পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা। তার মধ্যে বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় আর সড়কটি খোঁড়ে রাখায় পানিতে ভরে আছে। যার ফলে মানুষ ঝুকি নিয়ে দুই পাশের গাইড ওয়ালের ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করেছে। এসময় কথা হলে স্থানীয় ব্যবসায়ী জনিক চক্রবর্তী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সড়কটি খোঁড়ে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার। এতে করে এই রাস্তায় কোন যানবাহন তো দুরের কথা মানুষজন হেটেও চলাচল করতে পারছে না। অসংখ্য মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া কাজে ধীরগতির কারণে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী যাদব সরকার, মো. মোস্তাক মিয়া, জাফর মিয়া, বিমল সরকার, মো. শরিফ, নান্টু আচার্য্য সহ আরো অনেকেই।