• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজশাহী

    চৌবাড়িয়া বাজারের ঐতিহ্যবাহী দাস হোটেল এখনো সবার শীর্ষে

      প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ১২:০৮:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সারোয়ার হোসেন, তানোর:

    তানোরের সীমান্তবর্তী চৌবাড়িয়া বাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দাস হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার গুণগত মানে এখনো সবার শীর্ষে রয়েছে। দাস হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার টি দীর্ঘ ৩৫বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছেন চৌবাড়িয়া বাজারে। এই দাস হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক হচ্ছেন,মান্দার তেতুলিয়া ইউনিয়নের কুরকুচি গ্রামের সূর্য কান্ত দাস(৬৫)। বর্তমানে বয়সের ভারে খুব একটা হোটেলে বসতে না পারায় হোটেলটি তে বসেন তার ছেলে টুটোল কান্ত দাস(৩২)। তার পরেও হোটেলের মায়া ছাড়তে না পেরে প্রতিদিন ছুটে আসেন হোটেলে সূর্য কান্ত দাস। করেন হোটেলে মিষ্টি তৈরি ও রান্নার কাজে তদারকি।

    জানা গেছে, বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বাজার হাটে ও মেলাতে ভারে করে পায়ে হেটে মিষ্টি বিক্রি করতেন সূর্য কান্ত দাস। তার পরে কিছু টাকা জমিয়ে শুরু করেন চৌবাড়িয়া বাজারে মিষ্টি ও ভাতের হোটেল। তার পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সূর্য কান্ত দাসকে। ধীরে ধীরে সুনামের সাথে এগিয়ে যেতে শুরু করে তার হোটেল ব্যবসা। বর্তমানে ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দাস হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।

    দাস হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে সারি সারি পসরা করে পিতলের পাতিলে সাজানো রয়েছে হরেক রকমের মিষ্টি,সন্দেশ,প্যারা সন্দেশ,কালোজাম, রসমালাই,হাসিখুশি মিষ্টি,বগুড়ার দই সহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টি।অন্যদিকে এই হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার টি বহু পুরাতন হলেও এখনও ঝকঝকে চকচকে করে রাখা হয় সার্বক্ষণ। ফলে এই হোটেলে সবসময় উপচে পড়া ভীড় জমায় ক্রেতারা। হোটেলে আসা ক্রেতা রনি জানান, এই হোটেলের মিষ্টি, দই,সন্দেশ, প্যারা সন্দেশ অনেক সুস্বাদু, হোটেলের পরিবেশও খুব ভালো, এখানে খাঁটি ছানার সন্দেশ ও মিষ্টি পাওয়া যায়।

    তুলনামূলক দামও সন্তুষ্ট জনক। দাস হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের বর্তমান মালিক সূর্য কান্ত দাসের ছেলে টুটোল কান্ত দাস বলেন,চৌবাড়িয়া বাজারের সবচেয়ে পুরাতন মিষ্টির দোকান আমাদের হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। এখানে আমরা সবসময় ক্রেতাদের খাঁটি ছানা ও দুধের দুই মিষ্টি দেয়া চেষ্টা করি। যার ফলে ক্রেতারা আমাদের হোটেলের চাহিদা বেশি করে। আগে হোটেলটি আমার বাবা পরিচালনা করতো, বর্তমানে তার বয়স হওয়ায় আমি নিয়মিত হোটেলটি পরিচালনা করে যাচ্ছি।

     

    আরও খবর

    Sponsered content