সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ,থানায় মামলা

আবীর হাসান,নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের আশারানী হাওরে নিয়ে গিয়ে নয় বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাওর থেকে শাপলা ফুল তুলে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গতকাল সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা হালিম মিয়া (২০)কে আসামি করে মধ্যনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে ওই শিশুটিকে পাশের নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মধ্যনগর থানা পুলিশ,মামলার এজাহার ও শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিশুটি নিজ গ্রামের একটি বাড়িতে টিভি দেখছিল।এ সময় উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা রইছ মিয়ার ছেলে হালিম মিয়া (২০) ওই শিশুটিকে হাওর থেকে শাপলা ফুল তুলে দেওয়ার কথা বলে ডেকে ওই ঘর থেকে বের করে আনে। পরে তাকে উপজেলার আশারানী হাওরে নিয়ে যায়। বেলা সোয়া একটার দিকে শিশুটিকে হাওর সংলগ্ন একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে শিশুটির মুখ চেপে ধরে তাকে বলাৎকার করেন হালিম মিয়া। শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে নৌকাযোগে নিজ বাড়ির কাছাকাছি স্থানে পৌঁছে দেন হালিম।শিশুটি কান্নাকাটি করে তার মাকে পুরো ঘটনাটি বাড়িতে গিয়ে জানায়।পরে শিশুটির স্বজনেরা ওইদিন তাকে পাশের কলমাকান্দা উপজেলার বিশেরপাশা বাজার নিয়ে গিয়ে একজন পল্লী চিকিৎসক দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নেয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির বাবা এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তদন্ত করে ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে পুলিশ।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. জাহিদুল হক বলেন, এক শিশুকে বলাৎকার করার ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটিকে পাশের কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আসামি হালিম মিয়া পলাতক রয়েছেন।তাকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।