• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন প্রকল্পের কাজ

      প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২৩ , ৩:২০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

    শেষ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন প্রকল্পের কাজ। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে ৩২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরো অংশ ডাবল লাইনে উন্নীত হলো। এতে করে এ পথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ের কবলে পড়তে হবে না। পাশাপাশি বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭২/৭৩ কিলোমিটার রেলপথে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি স্টেশনের নতুন অবকাঠামো, প্ল্যাটফর্ম, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে স্টেশনের নতুন অবকাঠামো ও আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের দুইটি প্ল্যাটফর্ম। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা।

    তবে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন জটিলতায় পড়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে যায় কসবা রেলওয়ে স্টেশন ও সালদা নদীর সেতুর নির্মাণকাজ। পরবর্তীতে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘ আলোচনার পর চলতি বছরের মার্চে পুনরায় বন্ধ হওয়া অংশের নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

    ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরো অংশই ডাবল লাইন হওয়ায় এখন এ রুটে বর্তমানের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ ট্রেন চলাচল করতে পারবে। যাত্রী ও পণ্যবাহী উভয় ট্রেনের সময় বাঁচবে অন্তত দেড় ঘণ্টা। এর ফলে যাত্রী ও পণ্যবাহী অধিক ট্রেন পরিচালনার মাধ্যমে রেলের আয় বাড়বে। এছাড়া নতুন রেললাইনে ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    মূলত সিঙ্গেল লাইনের কারণে কুমিল্লা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথে দীর্ঘ সময় ক্রসিংয়ে পড়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। এছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে ঘটতো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বাসিন্দা রুবেল মিয়া বলেন, সিঙ্গেল লাইনের কারণে কখনও নির্ধারিত সময়ে ট্রেন আসত না। ক্রসিংয়ে পড়ে বিলম্ব হতো ১৬-২০ মিনিট, অনেক সময় আরও বেশি। এখন আশা করি নির্ধারিত সময়ে ট্রেন আসবে। তবে পূর্বাঞ্চল রুটে আরও কিছু নতুন ট্রেন দিলে যাত্রীদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হত না।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শফিকুর রহমান জানান, সিঙ্গেল লাইনের জন্য একটি ট্রেনকে স্টেশনের আউটারে বসিয়ে আরেকটি ট্রেন প্রবেশ করানো হত। এখন আর কোনো ট্রেনের জন্য কোনো ট্রেনকে বসিয়ে রাখতে হবে না। ক্রসিং না থাকায় যাত্রীদের সময় বাঁচবে, দুর্ভোগ কমবে।

    করোনা মহামারি ও সীমান্ত আইন জটিল তাসহ নানা বাধায় নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি প্রকল্পের কাজ। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় থেকে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরো অংশ ডাবল লাইন হওয়ায় যাত্রীরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমনি রেলেরও আয় বাড়বে। বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি পণ্য পরিবহন করা যাবে ট্রেনে। আগামীতে টঙ্গী থেকে আখাউড়া এবং লাকসাম থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ করা হবে। এতে ট্রেন ভ্রমণ আগের চেয়ে আরও বেশি আনন্দময় হবে। পাশাপাশি পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে থেকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

    আরও খবর

    Sponsered content