• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • সারাদেশ

    কর্তৃপক্ষ নীরব? রাজস্থলী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এখন নিজে দখলে নিচ্ছে স্কুলের জায়গায়

      প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২৩ , ৩:০৪:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজস্থলী প্রতিনিধি:

    রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জায়গায় দখল ও প্রায় আড়াই লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও আপন ভাগিনা মোঃ এমদাদুল হক মিলন। জানাযায় ১৯৮৭ সনে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি স্থাপিত হয়। বর্তমান সরকারের পাইলট প্রকল্পের অধীনে রাজস্থলী উপজেলায় একটি মাত্র বিদ্যালয় ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নতি করা হয়েছে।বিদ্যালয়টি রাজস্থলী -বাঙ্গালহালিয়া প্রধান সড়কের পাশে এবং সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প এবং পিছনের দিকে বন বিভাগ।মাঝ খানে বিদ্যালয় টি স্থাপিত হওয়ায় প্রথম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দ এবং উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে একটি পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন বরাদ্দ হয়। সেটি নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে ৭টি সেগুন কাঠ ও ১টি গামাড়ি গাছ মোট ৮টি গাছ প্রকাশে নিলামে টেন্ডার হয়। কিন্তূ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুইচিংহ্লা মারমা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী শাহাজাহান হাওলাদারের যোগসাজশে পাশের মসজিদে টয়লেটের নিচ থেকে আরো তিনটি সেগুন কাঠ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।যা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন সদস্যরা অবগত নন।অন্য দিকে নতুন কমিটি গঠনের পর পর বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিনের জায়গায় নিজের বলে দাবি করেন ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পালা বিক্রি করে জায়গায় দখলে নেওয়ার জন্য ঘেড়া বেড়া দিচ্ছে। এদিকে ২০০৫ ইং সনে এক সময় এলাকায় শহিদুল ইসলাম,ও ওয়াহেদ ঘরামী বিদ্যালয়ের জায়গায় গোধা বাঁধ নির্মাণ ও মাছ চাষ করে বিদ্যালয়ের জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পালা লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করে লিখিত আকারে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তৎকালীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু এখন সে জায়গার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গুলো ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উল্লেখ করেছেন। সাথে প্রায় এক একরের মতো জায়গা দখল করে ঘেড়াবেড়া দিয়ে দখলে নিচ্ছে। রাজস্থলী প্রধান সড়কে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা বেদখল হয়ে যাবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা বলে মনে করছেন সাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনেকে। সাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রশিদ সরদার( বড় মিয়া) বলে দীর্ঘ বছর ধরে জায়গাটা বিদ্যালয়ের বলে দাবি করে আসছে । এবং কেউ সেটি দখল করতে পারছে না।এখন যিনি রক্ষক তিনি এখন ভক্ষকে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ এমদাদুল হক মিলন বলেন বিদ্যালয় সভাপতি শাহাজাহান হাওলাদার সদ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকজন ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে হঠাৎ করে দেখতে পায় রাজস্থলী প্রধান সড়কের পাশে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গার গাছ পালা গুলো ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে ফেলেছে। বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুইচিংহ্লা মারমাকে অবগত করলে তিনি আমার কথা পাত্তা দেয়নি।পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজুরুল ইসলামকে অফিসে গিয়ে বিষয়টি অবগত করেছি।তার পরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ১০ শে জুলাই রাজস্থলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সেখানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজস্থলী সাব জোন,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন, উপজেলা প্রাথমিক অফিসার, রাজস্থলী থানা অফিসার ইনচার্জ,বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, রাজস্থলী উপজেলা প্রেসক্লাব বরাবরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন বলে জানা। তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে বর্তমান সভাপতি শাহাজাহান হাওলাদার তিন বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সে সময়ে সেটি তার জায়গায় হলে কেন এতো দিন দখলে নেননি কেন?
    উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজুরুল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল হক মিলন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুইচিংহ্লা মারমাকে ক্ষতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনা মোতাবেক বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং বিষয়টি নিয়ে অচিরেই একটি বৈঠক করবেন বলে জানান। রাজস্থলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল হক মিলনের একটি লিখিত অভিযোগ আমার নিকট জমা দিয়েছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন অবৈধ দখল কারী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে বলে জানান। এদিকে বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহাজাহান হাওলাদারের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন তার চৌহদ্দি ভুক্ত জায়গায় ঘেরা বেড়া দিচ্ছেন বলে দাবি করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content