• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • সারাদেশ

    রজনীকান্ত সেন নীচের বাড়িটি রাজশাহীবাসীর সবার চেনা

      প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২৩ , ৫:২৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শিবলী সাদিক রাজশাহীর ব্যুরো।

    রাজশাহীর প্রানকেন্দ্র সাহেব বাজার বড় মসজিদের ঠিক পেছনেই অবস্থিত এ ভাঙা চোরা দালান বাড়িটি কিছুদিন আগেও সোনালি ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা ছিল। অথচ এটা প্রায় কেউ জানেনা যে এই বাড়িটি তৈরী করে এই বাড়িটিতেই বাস করে পঞ্চকবির একজন সাধককবি “রজনীকান্ত সেন” একদিন রচনা করেছিলেন,

    “বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই
    কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই

    রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহী কলেজ এ পড়াশুনা করেছেন এই কবি। তারপর কলকাতা থেকে বি,এ এবং এল,ডাবলু পাশ করে রাজশাহী কোর্টে ওকালতি প্রাকটিস করতেন।
    মাত্র ৪৫ বছরের জীবনের শেষের দিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করতে যান। তারপর আর ফেরা হয়নি তার নিজ হাতে গড়া রাজশাহীর এই খাসা ঘরে। দীর্ঘদিন রোগ ভুগে ওখানেই মৃত্যু বরণ করেন এই মহান কবি।

    “মায়ের দেয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই
    দীন-দুঃখিনী মা যে তোদের তার বেশী আর সাধ্য নাই।

    রাজশাহীর কবি রজনীকান্তের লেখা এই গান টি সেকালে স্বদেশী আন্দোলনের চালিকাশক্তি ছিল। কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করে করে এই গান গাওয়া হতো বিদেশী পণ্য বর্জনের আহবান জানিয়ে।

    এর ফলে আমদের ছোট্ট শহর রাজশাহী সারাভারতবর্ষে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। আর আমরা সেই মহান কবির বাড়িটির সীমানাকে একটা আবর্জনাস্তুপের ভাগাড় বানিয়ে রেখেছি। প্রকৃতিও তার শোধ নিতে ভোলেনা। অকৃতজ্ঞ রাজশাহী তাই আজও বন্ধাই রয়ে গেছে সেই থেকে। রজনীকান্তের মত কেন, নামোল্লেখ করার মত রাজশাহী তথা দেশের মুখোজ্জ্বল করার মত সৃষ্টিকর্তা কাউকে আর পাঠায়নি এ বন্ধা অঞ্চলে।

    অগনন কবিতা আর দু’শরও বেশী কান্তগীতি (রজনীকান্তের গানকে অনেকে “কান্তগীতি” অভিধা দিয়েছেন) রচনা করে অমর হয়ে আছেন আমাদের এই কান্তকবি এপার ওপার দুই বাংলায়।

    “তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে
    মলিন মর্ম্ম মুছায়ে
    তব,পুণ্যকিরণ দিয়ে যাক, মোর
    মোহ- কালিমা ঘুচায়ে।

    তাঁর এই গানটি আজও শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা সংগীত হিসেবে গীত ও বিবেচিত হয়।

    কবির নিজের তৈরী এই বাড়িতে বসেই লিখেছিলেন “পরোপকার ” কবিতাটি–

    ‘নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল
    তরু গন নাহি খায় নিজ নিজ ফল
    গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান
    কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্নদান।’

    তার বেশীরভাগ গানই ছিল সৃষ্টিকর্তাকে নিবেদিত। তেমনি একটি কালজয়ী গান

    “আমি অকৃতি অধম বলেওতো,কিছু
    কম করে মোরে দাওনি
    যা’ দিয়েছ তারি অযোগ্য ভাবিয়া
    কেড়েও তো কিছু নাওনি

    সৃষ্টিকর্তার প্রতি এমন কৃতজ্ঞতা, এমন নিবেদন, কে আর কবে দেখিয়েছে গানে, ছন্দে বা বাণীতে।

    আরও খবর

    Sponsered content