• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রংপুর

    আটোয়ারীতে প্রধানশিক্ষক -সভাপতির দ্বন্দে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

      প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২৩ , ৪:১৬:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মোমিন ইসলাম সরকার দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:

    বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ের হিসেব নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দ্বন্দে পাঠদান বন্ধের ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সোমবার (২৪ জুলাই) উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ৪৫ নং যুগিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এদিন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেন বিদ্যালয়টির সভাপতি সহ পরিচালনা কমিটির লোকজন এবং অভিভাবকরা।
    স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছে বরাদ্দের টাকার হিসেব চাইলে সভাপতি অনিল চন্দ্র পালের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে এর কোন সুরাহা না হওয়ায় পাঠদান বন্ধ থাকে। এক পর্যায়ে অভিভাবকরা এসে শিশুদের বাড়ি নিয়ে যান।
    তাদের অভিযোগ- প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজের মত বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। কাউকে আয় ব্যয়ের হিসেব দেননা তিনি। প্রধান শিক্ষিকার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়ে তেমন পড়াশোনায় হয়না। নেই জবাবদিহিতা। শিক্ষিকাদের জন‍্য রয়েছে আবাসিক ব‍্যবস্হা। ফলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
    বিদ্যালয়ের সভাপতি অনিল চন্দ্র পাল জানান, বিদ্যালয়ে ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছিলো। ৫০ হাজার টাকার হিসেব দৃশ্যমান থাকলেও ৪০ হাজার টাকার কোন হিসেব দিচ্ছেননা প্রধান শিক্ষিকা। এ টাকার হিসেব চাইতে গেলেই ক্ষুব্ধ হন তিনি।
    তিনি বলেন, এই প্রধান শিক্ষিকা দীর্ঘদিন ধরে এখানে আছেন। এটা যে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তিনি তা মনে করেননা। নিজের মত চালাতে চান। অভিভাবকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন তিনি। এক সময় শিশুদের পদচারণায় মুখর থাকা বিদ্যালয়টি এখন শিক্ষার্থী সঙ্কটে। কাগজে কলমে শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন ২০ জনেরও উপস্থিতি থাকেনা। যারা আসছে তারা পড়াশোনায় অনেক পিছিয়ে। এজন্য অভিভাবকরা সন্তানদের অন্যত্র ভর্তি করাচ্ছেন। এসব শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে কোন উদ্যোগও নেই তার।
    একই সুরে কথা বলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য পাপলি রানী, মল্লিকা রানী, অভিভাবক আনোয়ারা বেগম, আব্দুস সালাম এবং মহেন্দ্র রায়। তারা বলেন, ‘বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান একেবারেই শেষ। শিক্ষিকারা বিদ্যালয়টি নিজেদের বাড়ির মতই ব্যবহার করেন। একটি কক্ষ দখল করে সেটাকে শয়ন ঘর বানিয়েছেন। পাঠদান ফাঁকি দিয়ে সেখানে শুয়ে, বসে সময় কাটান তারা।’ প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরাকে বদলি করে একজন পুরুষ প্রধান শিক্ষকের পদায়ণ দাবি করেন তারা।
    তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা। তিনি বলেন, বরাদ্দ যা পেয়েছি তার ব্যয়ের হিসাব একাধিকবার দিয়েছি। তারপরও বিদ্যালয়ের সভাপতি আমার কাছে চার হাজার টাকা চেয়েছেন, কিন্তু আমি কোত্থেকে দিবো। সবতো খরচ হয়ে গেছে। দিতে পারিনি এজন্য তিনি এসব অভিযোগ করছেন। আর বিদ্যালয় পরিচালনায় আমাদের কোন অবহেলা নেই। শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পাঠদানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
    এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, কোন কারণে পাঠদান বন্ধ থাকবে এটা কাম্য নয়। কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

    আরও খবর

    Sponsered content