প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২৩ , ১১:০৬:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে সংসারের সুখের কথা ভেবে পিতার বাড়ি থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা, স্বামীকে দিয়ে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলো, উপজেলার সরখোলা গ্রামের মৃত- কামরুল গোলদারের মেয়ে সীমা খাতুন(২৭), সেই স্বামী-স্ত্রীর সাথে করে চলেছে প্রতারণা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় আনুঃ ১০বছর আগে উপজেলার ৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া ১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রব-এর ছেলে মোঃ বাবুল খানের সাথে সীমা খাতুনের ইসলামি শরিয়াসম্মত অনুযায়ী বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। আনুঃ ১ বছর পূর্বে, একটি পুত্র সন্তান স্ত্রী সীমার গর্ভে মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে, পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ২য় সন্তান মাতৃ গর্ভে মারা যাওয়ার পর থেকে তার স্বামী বাবুল প্রবাসে থেকে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। গৃহবধূ সীমা খাতুন অন্ন বস্ত্রহীন জীবন কাটাচ্ছেন। এবিষয়ে ওই গৃহবধূ সীমা খাতুন জানান, আমাদের সংসারের অভাব অনটন দুর করার জন্য, অনেক কষ্টে পিতার রেখে যাওয়া জমি বিক্রি করে, সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে স্বামীকে সৌদি আরব বিদেশ পাঠিছিলাম, বিদেশ থেকে সে আমার অনুমতি ছাড়া খুলনার এক মহিলাকে আমার শ্বশুর রবের প্রয়োচনায় স্বামী বাবুল ২য় বিয়ে করেছে। গত বছর খানেক আগে আমার গর্ভের সন্তান মারা যায়, তার পর থেকে আমার স্বামী একটি টাকাও আমাকে খরচ বাবদ দেয়নি। আমার শ্বশুর শাশুড়ীও আমাকে খুব নির্যাতন করেছে। এবং দিনের পরদিন আমিসহ আমার ছেলেটিকে খেতে দেয়নি। আমাকে বিয়ে করার সময় আমিসহ আমার মা মামাদের বলেছিলো আমার কোন শ্বশুর নেই, পরে জানলাম আমার শ্বশুর আছে, বিয়ের কিছু দিন পর শ্বশুর রব বাড়ি আসে। এখন প্রাই ৭/৮ দিন আগে আমার স্বামী বাবুল দেশে এসেছে, কিন্তু বাড়ি আমার এখানে না এসে সে ওই ২য় স্ত্রীর কাছে রয়েছে, ফোন করলে উল্টো পাল্টা গালাগাল করছে। এইসব কথা বলতে বলতে ওই গৃহবধূ সীমা খাতুন কান্না করতে থাকে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করেছেন। এবিষয়ে সীমা খাতুন এর শ্বশুর রব জানান আমার ছেলে বউ আমাদের বাড়িতে আছে আমার ছেলে বাড়িতে না আসা পযন্ত আমি কিছু বলতে পারবোনা। এবিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী মোঃ বাবুলের মুঠোফোন 01307-679682 নং একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি সে ফোনটি বন্ধ করে রেখেছে।