• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • অর্থনীতি

    টাকা উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগীতা চান ৩ বাংলাদেশি

      প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ২:৩৬:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:

    কাতারে তিন প্রবাসী বাংলাদেশির ব্যবসায়ীক ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশে পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশি প্রবাসী তৌহিদুল ইসলাম। তার দেশে পালিয়ে আসায় বিপদে পড়েছেন তিন বাংলাদেশি।

    টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে আসা তৌহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ মানিকপুর বলে জানা গেছে।

    অর্থ আত্মসাৎ করে কাতার থেকে দেশে পালিয়ে আসায় তৌহিদুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নোয়াখালী পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী তিন প্রবাসী বাংলাদেশি।

    প্রথম ভুক্তভোগী ইউনুছ হোসেন রাজিব বলেন, প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম আমার একি উপজেলা নোয়াখালী সেনবাগ বাড়ী হওয়ায় একান্ত বিশ্বাস করে ২০১৮ সাল থেকে কাতারে আমাদের কোম্পানির রিয়েল এস্টেট ব্যবসার দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি। কোম্পানির অর্থিক লেনদেন ও আমার কোম্পানির রিয়েল এস্টেট ব্যবসার বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ভাড়া সংগ্রহ দায়িত্ব দিয়েছি। ২০২২ সালে কোম্পানির তিন বছরের হিসাব চাইলে তৌহিদুল ইসলাম হিসাব দিতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হিসাব দিতে অপারগতা জানান। এমতাবস্থায় গত ১ জুলাই ২০২২ সালে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সম্মুখে সর্বমোট ৪.৮৫.৭৩৭ কাতারি রিয়াল আমি পাওনা হই।স্বাক্ষীগনের সম্মুখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একশত টাকা মূল্যের ষ্ট্যাম্পে তিন মাস পরে টাকা দিবে বলে প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম অঙ্গীকার করে। গত এক বছর পাওনা রিয়াল না দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রী ইসরাত জাহান এবং বোন হাসনা, শিউলি ও মা এর দেশের স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে সমস্থ রিয়াল পাঠিয়ে দিয়ে গত মাসের ২৩ জুলাই কাতার থেকে দেশে পালিয়ে যায় প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম।

    ভুক্তভোগী ইউনুছ হোসেন রাজিব আরও জানান, প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম দেশে গিয়ে আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও আমি দেশে গেলে আমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আমার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আমার পিতা হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে গত মাসের ২৭ জুলাই নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

    ভুক্তভোগী আরও জানান, কাতারি নাগরিকের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া হিসেবে নেয়া বিল্ডিংয়ের ভাড়া কিছুদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে কাতারি নাগরিকের দেয়া মামলায় তাকে জেলে যেতে হবে। এমতাবস্থায় তৌহিদুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

    প্রতারক তৌহিদুল ইসলামের প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত আরও দুই প্রবাসী। ভুক্তভোগী আবু তাইয়্যেব এর পাওনা কাতারি সাড়ে ৭ লাখ রিয়াল ও আরেক ভুক্তভোগী আবদুল কুদ্দুস এর পাওনা কাতারি ৫০ হাজার রিয়াল।

    আরও খবর

    Sponsered content