• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ও মহাসড়কের পাশে অবৈধ তেলের রমরমা ব্যবসা

      প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৪৭:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোহাম্মদ জুয়েল খান বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা বিভাগ

    জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাগেরহাটের বিভিন্ন রুটে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। যার ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। একজন ব্যবসায়ী ওইসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল জ্বালানি তেল বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি করা যাবে না। অথচ সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই বাগেরহাট জেলা মংলা খুলনা ও খুলনা মাওয়া মহাসড়কের আশপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ী সর্বত্র ছোট-বড় বাজারে ও অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। আর এভাবে ওপেন জ্বালানি তেল বিক্রিতে সাধারণ মানুষ থাকে প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায়। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রল ও কেরোসিন বিক্রি।অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২০০ লিটারের নিচে কোনো এজেন্টের কাছে জ্বালানি তেল বিক্রি করার নিয়ম নেই।তারপরেও এ সমস্ত দোকানে নির্দ্বিধায় চলছে জ্বালানি তেল বেচাকেনা অনেক ক্ষেত্রেই চালকদের বিরুদ্ধে ২০-৫০ লিটার তেলও বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সরকারি নিয়মনীতি মানছেন না ট্যাংক লরি মালিক বা চালকরা বিভিন্ন স্থানে তেল বিক্রি করে থাকেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে কয়েকশ’ দোকানে বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি পদার্থ। বিভিন্ন দোকানে দুই লিটার, এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রল কিনতে পারেন, যা ব্যবহার হতে পারেন যেকোনো কাজে। এতে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। সড়কের এক জ্বালানি তেল বিক্রেতা বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা দিনে অল্প কয়েক লিটার তেল বিক্রি করি। এ আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। লোকজনের চাহিদা থাকায় এজেন্টদের কাছ থেকে তেল নিয়ে এসে বিক্রি করি,যেকোনো ফুয়েল পাম থেকে খোলা তেল বিক্রি করা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী অনায়াসেই আইনকে তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যবসা, এভাবে খোলা বাজারে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল,সহ রমরমা ব্যবসা জমে উঠেছে বিশেষ করে হাইওয়ে রোডের পাশে ট্রাক থামিয়ে যে সকল চালক ২০ থেকে ৩০, ৪০, ৫০ লিটার তেল বিক্রি করে আসছেন এভাবে খোলা বাজারে তেল বিক্রি করলে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা, তাই সুশীল সমাজ মনে করেন এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি একান্ত কাম্য।

    আরও খবর

    Sponsered content