প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ১:০৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
মোহাম্মদ জুয়েল খান বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা বিভাগ
গত দুইদিনের টানা বৃষ্টির কারণে বাগেরহাট জেলার নোয়াপাড়া মোড় হতে ফকিরহাট থানাধীন ফলতিতা বটতলা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। গত দুইমাস আগে পুরান সড়কটির উপরে নতুন করে কার্পেটিং দেওয়ার কারণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন ও পথচারী।এলাকার লোকজন ও পথচারীরা জানান আজ থেকে দুই মাস আগে নতুন করে কারপেটিং করার পর থেকেই ঘন বৃষ্টির কারণে বারবার ধুয়ে যাচ্ছে কারপেটিং প্রতিনিয়ত রিপেয়ারিংয়ের কাজ করেও রাখা যাচ্ছে না এই মহাসড়কটি খুলনা মাওয়া মহাসড়কে এধরনের নরমাল কাজ করার জন্য ঠিকাদার কোম্পানিকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ তারা বলছেন এত সুন্দর একটি মহাসড়কের কাজ যদি এমন ভাবে করা হয় তাহলে এদেরকে দিয়ে আমরা কি আশা করতে পারি তারা আরো বলেন যে আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বলতে চাই এই সমস্ত ঠিকাদার কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করে এদেরকে দিয়ে পুনরায় সড়কটির মেরামত করে নেওয়া উচিত অন্যথায় এদেরকে আবারও সুযোগ দিলে এরা এরকমই করবে একদিকে সড়কের মেরামতের কাজ করছেন অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে আবারও তা ধুয়ে যাচ্ছে। সড়কের লেবারদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে ভাই এটা আমাদের কি দোষ ঠিকাদার কোম্পানি দুই নম্বর পাথর এনেছেন বিধায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে আশ্চর্যের বিষয় হলো আজকাল নাকি পাথরও দু’নম্বর হয় একটি মহাসড়ক যদি বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যায় সেই সড়ক করে আমাদের কি লাভ বলেছেন সাধারণ জনগণ নোয়াপাড়া মোড় থেকে রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু হলেও এই দুইদিনের ঘন বৃষ্টির কারণে আবারো সড়কটিতে ছোটখাটো পুকুরের মত গর্তের অভাব হয়নি এভাবেই যদি রাস্তা মেরামত করতে হয় তাহলে নতুন করে নতুন কারপেটিং উঠিয়ে ফেলে আবার করতে হবে তাহলেই হয়তো ভালো মানের কাজ আশা করা যায়। পুরো ১৪ কিলোমিটার রাস্তা জুড়েই ছোট ছোট গর্ত হয়ে পড়ে আছে একদিক থেকে গর্ত বন্ধ হলে অন্য দিক থেকে গর্ত হচ্ছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের একটাই দাবি পুনরায় রাস্তা খনন করে নতুন করে করা হোক না হলে রাস্তাটি যতবারই মেরামত করবে ততবারই এ ধরনের গর্ত হতে থাকবে।