প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৪৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
রায়হান উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুদ্দিন হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম (১৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।সোমবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আশরাফুল ইসলাম কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেমের পুত্র।
হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে তিনি সাইফুদ্দিনকে খুন করার কথা শিকার করেছেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের সাথে কিছু দিন আগে পরিচয় হয় আশরাফুলের সাথে,সে সুবাদে গত রোববার ২১ শে আগস্ট বিকেলে বড় বাজার থেকে দেশীয় মদ ও পেয়ারা কিনে হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনের ২০৮ নম্বর কক্ষে উঠেন তারা। সেখানে দেশীয় মদ ও পেয়ারা খাইয়ে মাদ্রাসা ছাত্র আশরাফুলকে এক পর্যায়ে যৌন নির্যাতন করে সাইফ উদ্দিন। যৌন নির্যাতন করে সাইফ সেই ভিডিও ধারণ করেছে নিজের মোবাইলে। পরে বাইকে করে গোলদিঘির পাড়ে নামিয়ে দিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে বলে।
পরবর্তী এক ঘন্টা পর আবারও ফোন করে হোটেলে ডাকে সাইফ উদ্দিন। সেখানে আবারও যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়। তখন এক পর্যায়ে নিজের উপর যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই সাইফ উদ্দিনকে হত্যা করে ঘাতক আশরাফুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
এরআগে সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া মরদেহটির শরীরে কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং শরীরের নানা অংশে জখম রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্তের পর তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়। টেকনাফমুখী একটি বাসে তল্লাশির সময় আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।