প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৪৬:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
তার পেশাই যেন বিয়ে করা। বিয়ে করে দেনমোহরের টাকা কিংবা নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় অথবা মামলায় আপোষের নামে টাকা আদায়। এসব করেই যেন চলে তার টাকা জীবিকা। মীনা, নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার জারিয়া পূর্বপাড়া মৃত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। একই গ্রামের তৈয়ব আলীর সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। সে ঘরে সন্তানও রয়েছে।
সেই স্বামীকে তালাক নাদিয়ে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জামান ড্রাইভারকে বিয়ে করেন। জামানের সাথে কয়েকদিন চলে যান ভালুকা। স্বামী ভালুকায় না যাওয়ায় তার নামে মামলা ঠুকে দেন। মামলা আপোষ করবে বলে তার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকাও নিয়েছে, কিন্তু আপোষ করেননি। এর পরে ফেনীর ফতেপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নবী হোসেনের সাথে তার সম্পর্ক হয়। বিয়েও হয়েছে বলে প্রচার আছে। আবার, ভালুকার মামুন নামের একজন তাকে বিয়ে করেছে বলে প্রচার আছে।
ভালুকায় একাধিক বাসা বদলের পর সেখানে সে স’মিল ব্যবসায়ী আমির হোসেনের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করেন। মীনা কোনো কাজকর্ম না করেও সাড়ে ৭ হাজার টাকার ভাড়াবাসায় বিলাসবহুল জীবন-যাপন করেন। জনৈক আকরাম চেয়ারম্যানের সাথেও মীনার দহরম মহরম খাতির রয়েছে। মীনা বর্তমানে থাকে সালাম ভেন্ডারের বাসায়। মীনার কাছে কোন পুরুষের আসা যাওয়া যেন সালাম ভেন্ডারের সহ্য হয়না। আত্মীয়-স্বজনের অজুহাতে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।মাঝে মাঝে রাতে বাসায় না থাকা নিয়ে এলাকায় ব্যপক সমালোচনা চলছে।
এর আগে আবু হানিফের বাসায় মীনা ভাড়া থাকাবস্থায় বিভিন্ন লোকজন আসা যাওয়ায় তিনি বিতর্কের মুখোমুখি হন। স’মিল ব্যবসায়ী আমির হোসেনের সহযোগিতায় সালাম ভেন্ডারের বাড়ি ভাড়া নেন। এখানেও বাড়ির মালিককে নিয়ে চাপাগুঞ্জন চলছে। জানা গেছে, মীনা বিভিন্ন মানুষকে টিকটকে ভিডিও ছেড়ে আকৃষ্ট করে বিয়ের ফাঁদে ফেলে থাকেন।
এদিকে, মীনার আরেক স্বামী হাবিবের বিরুদ্ধে মীনার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার (মামলা নং- ২(৮)২০২২) তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৭ ধারায় বাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন।