• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    EIGME_Digital_Solution_005 এ এক বিশাল চক্র যা ক্যাসিনো কেও হার মানায়

      প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৩ , ৪:১৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোহাম্মদ জুয়েল খান বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা বিভাগ

    হঠাৎ একটা ফোন কল বা কোন অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমের কল আসলো যা আপনার জীবনের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে আপনিও খুশিতে আত্মহারা। যেখানে কোন বিনিয়োগ করতে হচ্ছে না বা আপনার থেকে কোন চার্জ নেওয়া হচ্ছে না প্রতিদিন একটি মোটা অংকের টাকা আপনি উপার্জন করতে পারবেন যা দিয়ে আপনার জীবিকা নির্বাহের একটা আস্থা তৈরি হয়ে যাবে এমন আশ্বাস। আপনি কাজে লেগে পড়লেন নিয়মিত পেমেন্ট পেতে থাকলেন একটু একটু করে বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছেন যা আপনার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব নয় এক পর্যায়ে এই চক্র আপনাকে নিঃস্ব করে ছাড়ছে যা আপনি কল্পনাও করতে পারছেন না। আর যখন আপনি বুঝতে পারছেন তখন আপনার জন্য আর কোন পথ খোলা থাকছে না।
    একইভাবে প্রতারিত হচ্ছে বেকার জীবনের অভিশপ্ত হাজারো মানুষ তাদের ভিতর থেকে একজন রেজওয়ানুল করিম (রেজা) (৩০) পিতাঃ শের আলী পাড়।ফকিরহাট, বাগেরহাট। গত ২৭/০৮/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার সময় +91 90122 58180 এই নাম্বার থেকে একটি whatsapp কল আসে এবং তাকে একটি খন্ডকালীন কাজের অফার করা হয়। কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলা হয় শুধুমাত্র তিনটি ইউটিউব ভিডিওতে একটি করে লাইক দিয়ে প্রমাণ হিসাবে স্ক্রিনশট প্রোভাইড করলেই তাকে পারিশ্রমিক হিসাবে ২১০ টাকা দেওয়া হবে। এমনভাবে প্রতিদিন তার পক্ষে ২৫০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। উনি কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে যায় এবং কলকারীকে বলা বলেন আমাকে কাজটা বুঝিয়ে দিন আমি কাজটা করতে চাই, তখন তাকে তিনটি ইউটিউব ভিডিও লিংক সেন্ড করা হয় যাতে একটি করে লাইক দিয়ে স্ক্রিনশট নিয়ে কলকারীকে পাঠাতে বলা হয়। স্ক্রিনশট পাঠানোর পর তাকে একটি সেলারি কোড (H784) পাঠানো হয় এবং বলা হয় একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট ওপেন করার জন্য এবং নাবিলা জাহান নাম করে একটি টেলিগ্রাম একাউন্টের লিংক পাঠানো হয় সেখানে স্যালারি কোডটি সেন্ড করার পর নাবিলা জাহান ১০ মিনিটের ভিতরে পারিশ্রমিক হিসেবে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টে (01812442322 এই নাম্বার থেকে) ২১০ টাকা পাঠিয়ে দেন এবং বলেন আগামীকাল সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে আপনাকে একটি গ্রুপে যুক্ত করা হবে সেখানকার নির্দেশনা গুলো পর্যায়ক্রমে পুরা করতে হবে তাহলে আপনি প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৩০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবন। তার বক্তব্য অনুযায়ী পরের দিন ১৮/০৮/২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে
    EIGME_Digital_Solution_005 নামের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করা হয় এবং সেখানে একটি বড় রুলস জারি করা হয়। যেখানে বলা হয় এক থেকে চব্বিশটি পর্ব অতিক্রম করতে হবে প্রত্যেক তিনটি পর্বে ২১০ টাকা করে বেতন দেওয়া হবে। প্রথম তিনটি পর্ব পুরা করার পর ওই একই বিকাশ নাম্বার থেকে ২১০ টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দ্বিতীয় তিনটি পর্বের তিন নাম্বার পর্ব অর্থাৎ সম্পূর্ণ কাজের ছয় নাম্বার পর্বে তিন স্তরে (১০০০-৩০০০ এবং ৫০০০ টাকা) বিনিয়োগ করতে বলা হয় এখান থেকে যে যার পছন্দ মতো একটি অংক বেছে নিতে পারে সেখান থেকে সব থেকে ছোট বিনিয়োগ মাত্র ১০০০ (cash out no 01312464629) টাকা বেছে নেওয়া হয় এবং একটি নতুন লিংকে ঢোকার পর সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয় এবং ওইখানে একটি ক্যাসিনো প্রকৃতির অনলাইন ওয়েবসাইট (fortuneemiixx.com) এ দুইবার বিনিয়োগ করতে হয় যার বিনিয়োগ অর্থ ওই ওয়েবসাইটেই ফ্রিতে দেওয়া ছিল। বিনিয়োগের উপর ২০% মুনাফাসহ তিনটি কাজের পারিশ্রমিক ২১০ টাকা সব মিলিয়ে এক ১৪১০ টাকা পাঠিয়ে দেয়। বিশ্বাসের পরিমাণ আরো গভীর হয়, এরপর সাত আট নয় তিনটি পর্ব কাজ করার পর আরও ২১০ টাকা পাঠিয়ে দেয়। দশ থেকে এগারো পর্বের পর 12 নম্বর পর্বে গিয়ে আবারো টাকা পাঠাতে বলা হয় যেখানে টাকার অংক বেড়ে ১৫ হাজার এগিয়ে দাঁড়ায় তখন মনের ভিতর একটি সন্দেহ কাজ করে তাই আর টাকা পাঠানো হয় না একটা অজুহাত দেখিয়ে আগামীকাল থেকে কাজ করবো বলে কার্যক্রম স্থগিত করা হয় কিন্তু গ্রুপে যুক্ত থাকায় ওদের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। একপর্যায়ে দেখতে পায় আঠারো নম্বর পর্বে গিয়ে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লক্ষ দশ হাজার টাকা সেন্ড করতে বলা হয় এবং গ্রুপের অধিকাংশ ব্যক্তি তাদের চাহিদা মোতাবেক বিকাশ নগদ এমনকি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা সেন্ড করতে থাকে যার স্ক্রিনশট গ্রুপে পাঠায় কিন্তু প্রতিবারের মতো রিসিভ মানির স্ক্রিনশট গুলা দেখা যাচ্ছিল না যারা ছোট অংকের বিনিয়োগ করেছে শুধুমাত্র তাদেরকেই তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছিল আর বড় মাপের বিনিয়োগকারীরা আস্তে আস্তে করে উধাও হয়ে যেতে লাগলো তখন মনের সন্দেহ দূর করার জন্য যারা লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করছিল তাদেরকে ইনবক্স করায় টেলিগ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয় পুনরায় একই নাম্বার থেকে টেলিগ্রাম লগইন করতে গেলে ওই নাম্বারকে বাজেয়াপ্ত বলে ঘোষণা করা হয় তাই আর টেলিগ্রাম কন্টাক্ট বা টেলিগ্রামের গ্রুপ সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয়নি কাজের স্বার্থে পূর্বে যতগুলো স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছিল তার ভিতর থেকে কিছু ছবিতে প্রকাশ করা হলো। অনুমান করা হচ্ছে যে এই চক্রটির সঙ্গে টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে সম্পৃক্ত।

    আরও খবর

    Sponsered content