কামরুল ইসলাম : ২৩ মার্চ ২০২৩ , ১:০৭:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
ট্টগ্রামের অর্ধ–শতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আজ বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে তারা তারাবির নামাজ আদায় ও সেহেরী খাওয়া শুরু করেছে। সাতকানিয়ার সোনাকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদগণ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও একদিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু করেছে।
মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধ–শতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আজ রোজা পালন শুরু করেছে। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম,নাইক্ষ্যাংছড়ি, চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরাও আজ থেকে রোজা পালন শুরু করেছে।মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদ ও মির্জাখীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী জানান, আমাদের পুরো গ্রামের মানুষ আজ রোজা পালন শুরু করেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরাও রোজা শুরু করেছে। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরা একই সাথে রোজা পালন শুরু করেছে। আমরা সবাই গতকাল থেকে তারাবির নামাজ আদায় ও সেহেরি খাওয়া শুরু করেছি। মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দুই শত বছরের অধিক সময় ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন করে আসছে।