• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ধর্মপাশায় প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেননি সহকারি শিক্ষক,ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:৪৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জহুরা খাতুন কে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রক্রিয়ায় বিষয়টি অবগত না করে তাঁকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাকেশ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে ভূক্তভোগী ওই সহকারি শিক্ষক সুবিচার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
    উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,গত রোববার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ইং এর বাছাইয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির শ্রেষ্ঠ সভাপতি, শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত করা হয়।
    ইউএনও  কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ওই সহকারি শিক্ষক উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ ও ২০২২সালে তিনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। করোনাকালীন সময়ে ধর্মপাশা অনলাইন স্কুল ও সরকার কর্তৃক ঘরে বসে শিখি ফেসবুক ফেইজ খুলে তিনি প্রতিদিন লাইভ ক্লাস, গুগল মিটে শিক্ষার্থীদের পড়া দেওয়া ও আদায় করা এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ও তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আবদুল রহমান তাঁকে করোনাযোদ্ধা শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ সনদপত্র প্রদান করেন। এটুআই কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষক বাতায়ন অনলাইন প্লাটফর্মে তিনি ক্লাস পরিচালনা করে মুল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিটি ক্লাস প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেন। ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে গণিত অলিম্পিয়াড আনন্দে গণিত শিখি কার্যক্রমে তাঁকে গবেষণা করার জন্য মনোনীত করা হয়।এই গবেষণার কাজ বর্তমানে চলমান রয়োছে।গণিতের বিভিন্ন উপকরণ তৈরি খেলাচ্ছলে গণিতভীতি দূর করে আনন্দে শিখি কার্যক্রমে শিশুদের সক্রীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আসছেন। সহকারি শিক্ষক জহুরা খাতুন বলেন, আমি দুইবার উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছি। সৃজনশীল কাজে উৎসাহ না দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাকেশ চন্দ্র পাল স্যার দীর্ঘদিন ধরে আমার ওপর নেতিবাচকরা মনোভাব পোষন করে আসছেন। তাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই প্রক্রিয়ার বিষয়টি তিনি আমাকে জানাননি। এ অবস্থায় এই প্রতিযোগিতায় আমি অংশ নিতে পারিনি। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে এই প্রতিযোগিতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

    প্রধান শিক্ষক রাকেশ চন্দ্র পাল বলেন, বিদ্যালয় থেকে সহকারি শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষিকার তালিকা সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা বা চিঠি আমি পাইনি। সহকারি শিক্ষকদের বিষয়টি জানাতে হবে এ ধরণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অনেক আগে থেকে শিক্ষকেরা স্বেচ্ছায় এতে অংশ গ্রহণ করে আসছেন।

    ধর্মপাশা সদর ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত ফরম পূরণ করে একজন সহকারি শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষিকার তালিকা আমার কাছে জমা দেওয়া কথা থাকলেও উপজেলার কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো তালিকা আমি পাইনি। সহকারি শিক্ষকদের বিষয়টি অবগত করার জন্য ওই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষককে নানাভাবে অবগত করেছি। তিনি না জানিয়ে থাকলে কাজটি সঠিক করেননি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগটির তদন্ত করে এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content