• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    গোয়াইনঘাটে দুইমাসে অর্ধ সহস্রাধিক ভারতীয় চিনি আটক করা হয়

      প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২:৩৩:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নোমান আহমদ গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ-

    সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে চোরাচালানের বিরুদ্ধে অব্যাহত রয়েছে পুলিশি অভিযান। প্রতিনিয়ত উদ্ধার হচ্ছে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসা ভারতীয় পণ্য। ৪৮১.১৩ বর্গ কি.মি. জুড়ে অবস্থিত এই উপজেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়। ডাউকী, সারী নদীর তীরঘেঁষে কারবার চলে এসব চোরাচালানের। ভারতীয় পণ্য সমূহের মধ্যে চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিসসহ খাদ্য পণ্যের চালানও আছে।

    পুলিশের তথ্য মতে, গত দুইমাসে ৫শ’ ৫৫ বস্তা চিনি উদ্ধার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনি, গরুসহ অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান রোধে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশনা জারীর পর থেকে উপজেলার প্রতাপপুর, সোনারহাট, পান্তুমাই, লক্ষণছড়া, বিছনাকান্দি, তামাবিল, সংগ্রামপুঞ্জি, আমস্বপ্নসহ সবক’টি সীমান্ত পয়েন্টে রেড এলার্ট জারী করে পুলিশ বিভাগ।

    গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুন থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত অভিযানে ৩১৩ বস্ত ভারতীয় চিনি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন রং ও সাইজের ৩৪টি গরু, যার মূল্য ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অগণিত মামলা দায়ের হয়েছে।

    জানা যায়, গত ১৫ জুন এসআই আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৫৩টি ভারতীয় চিনির বস্তা আটক করা হয় এবং জড়িত ১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা (নং-১৫) দায়ের করা হয়। ৩১ জুলাই এসআই এমরুল কবিরের নেতৃত্বে পূর্ব জাফলং এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৩৫ বস্তা চিনি আটক করা হয়। তামাবিল ক্যাম্পের জিডি নং- ৩১৬। ওইদিন এসআই জহিরুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে ৫০ কেজি ওজনের ৩২ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার এবং জড়িত থাকার অপরাধী ৩ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মামলা (নং- ০১) দায়ের করা হয়।

    জানা যায়, ৭ আগস্ট এসআই এনামুল হাসানের নেতৃত্বে ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৫০ বস্তা চিনি এবং জড়িত ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা (নং-০৬) দায়ের করা হয়। ১৫ আগস্ট এসআই এমরুল কবিরের নেতৃত্বে পূর্ব জাফলং এলাকা হইতে ৫০ কেজি ওজনের ৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং এক জনের নাম উলে­খ করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা (নং-১০) দায়ের হয়। ওইদিন পশ্চিম জাফলং এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। থানায় জিডি (নং-৬২৩) করা হয়।

    ১৯আগস্ট এসআই পিন্টু সরকারের নেতৃত্বে ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়ন এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ১০টি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার জিডি নং- ৮১৫। এদিকে ২১আগস্ট এসআই এনামুল হাসানের নেতৃত্বে ফতেপুর এলাকা হইতে ৫০ কেজি ওজনের ৪৫ বস্তা চিনি উদ্ধার হয়। যার জিডি নং- ৯০৯। ৩০আগস্ট এসআই এমরুল কবিরের নেতৃত্বে পূর্ব জাফলং এলাকা থেকে বিভিন্ন রং ও সাইজের ১০টি বাছুর উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা (নং-১২) দায়ের হয়। ২০ জুলাই এসআই মিহির চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে রুস্তমপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ১০টি বিভিন্ন রং ও সাইজের ভারতীয় বাছুর আটক করা হয় এবং জড়িত থাকার অপরাধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা (নং-১৩) ০৫ আগস্ট এসআই মিহির চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ৪টি বিভিন্ন রং ও সাইজের ভারতীয় ডেকা বাছুর উদ্ধার করা হয়। ১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা (নং-২৩) রুজু করা হয়। ২৮ আগষ্ট এসআই জহির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন এলাকা থেকে ১৮ বস্তা চিনিসহ ইসমাইল আলী নামীয় একজন চোরাচালান চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা নং ৩০।

     

    এছাড়াও চলতি মাসে পুলিশের অনুরূপ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গোয়াইনঘাট থানাধীন ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত আহারকান্দি সাকিনে ইছামতী নদীরপাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫০ কেজি ওজনের ১২১ বস্তা ভারতীয় চিনি আটকপূর্বক উপস্থিত সাক্ষীদের সামন জব্দ করা হয়।

    অপরদিকে থানার এসআই এনামুল হাসান একদল পুলিশ নিয়ে চোরাচালান বিরোধী অভিযান ডিউটি পরিচালনাকালে গত ১ সেপ্টেম্বর ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত বুগইলকান্দি সাকিনে পলাতক আসামি আকবর ও আমির আলীর বসতঘর হইতে ৫০ কেজি ওজনের ১০০ টি ভারতীয় চিনির বস্তা আটক করেন। এসময় চোরাচালানের সাথে জড়িত আসামী ১সজিব মিয়া, আকবর আলী, আমির আলী গংরা পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে।

    অপরদিকে এসআই পিন্টু সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ চোরাচালান বিরোধী অভিযান ডিউটি পরিচালনাকালে ১১ নং মধ্য জাফলং ইউনিয়ন এর অন্তর্গত রাধানগর বাজার থেকে মোঃ মাহবুবুর রহমান (২৭) নামের এক যুবককে, ৫০ কেজি ওজনের ৩ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১ টি লাল কালো রঙের টিভিএস মোটরসাইকেলসহ আটক করেন।

    গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল জানান,সিলেট পুলিশ সুপার নির্দেশিত ছকে একটি অপরাধমুক্ত থানা এলাকায় গড়ে তুলতে গোয়াইনঘাট জুড়ে অপরাধ বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। অপরাধ প্রবনতা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে টিম গোয়াইনঘাট থানার সকল অফিসার ফোর্স এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধ দমনের আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় থানা এলাকার বিভিন্ন স্হান হতে এসব চোরাচালান মালামাল, মোটরসাইকেলসহ জড়িত অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে কোন মূল্যে চোরাচালান, মাদক চুরি,ডাকাতি ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ বন্ধ করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content