• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ধর্মপাশায় এক ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বহিরাগতদের জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার অভিযোগ,তদন্ত কমিটি গঠিত

      প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:২৭:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আবীর হাসান,নিজস্ব প্রতিবেদক
    সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ঋতু মিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের নামে থাকা জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন আইডির পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিধিবহিভূত ভাবে বহিরাগতদেরকে ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাইকুরাটি ইউনিয়নের ইউপি সচিব একে এম রুহুল আমিন এ নিয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান কে কমিটির প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে ঋতু মিয়া (২৩) গত ৬/৭মাস ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের থানুরা গ্রামের বাসিন্দা আয়েদ আলীর ছেলে। একই সঙ্গে কাজ করার সুবাদে তিনি পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের নামে থাকা জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন আইডির পাস ওয়ার্ডটি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। এই সুযোগে ওই উদ্যোক্তা আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের নামে থাকা আইডি ও পাস ওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং তাঁদের দুজনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অন্য ইউনিয়ন, উপজেলা ,জেলা ও বিভাগের বাসিন্দাদের কে পাইকুরাটি ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সাবেক এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে এই খবরটি জানতে পারেন স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী। পরে ওই গণমাধ্যম কর্মী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবগত করেন। ইউএনও বিষয়টির খোঁজ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে মুঠোফোনে নির্দেশ দেন। ইউপি সচিব ওইদিন বিকেল তিনটার দিকে তাঁর নামে থাকা জন্মমৃত্যু নিবন্ধন আইডিতে ঢুকে পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, বহিরাগত বেশ কিছু নাম ও ঠিকানা দিয়ে পাইকুরাটি ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে।
    পাইকুরাটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ঋতু মিয়া বৃহস্পতিবার সারাদিন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আসেননি। এমনকি বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
    ইউপি সচিব একে এম রুহুল আমিন বলেন, চেয়ারম্যান সাব ও আমার নামে থাকা জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন আইডিটির পাস ওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং আমাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমাদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিভিন্ন জেলার ৫০থেকে ৬০জন বহিরাগতদেরকে আমাদের ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন করিয়েছেন বলে আমার কাছে তিনি স্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি ভবিষ্যতে আর এমনটি করবেন না বলেও আমার কাছে অঙ্গীকার করেছেন। আমি এ ঘটনায় ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
    পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, আমি জরুরি কাজে এখন এলাকার বাইরে আছি। আমাদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তা ঋতু মিয়া আমার ও ইউপি সচিবের নামে থাকা জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন আইডিটির পাসওয়ার্ড জানতেন। বিধি লঙ্ঘন করে বহিরাগতদেরকে আমাদের ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ো যদি তিনি জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আজ বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

    আরও খবর

    Sponsered content