• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    দক্ষিণাঞ্চলের মঠবাড়ীয়ার বেতার শ্রোতা কৃষ্ণ কর্মকার শোনেন নিয়মিত রেডিও এবং পরিচালনা করেন একটি শ্রোতা ক্লাব

      প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:৩৬:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    এম. জুলফিকার আলী ভূট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-

    পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার মঠবাড়ীয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ মিঠাখালীর কীর্তনপাড়া রোডে অবস্থিত কীর্তন পাড়ার বিশিষ্ট বেতার শ্রোতা এই কৃঞ্চ কর্মকার। জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। মঠবাড়ীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে কে.এম. লতিফ ইন্সটিটিউট থেকে এস.এস.সি পাশ করেন বিগত ২০১০ সালে, মঠবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন ২০১৩ সালে ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন এম. কম (ব্যবস্থাপনা) বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে পিতার একান্নভুক্ত পরিবারের সাথে দিনযাপন করছেন।

    বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর মধ্যে সব চাইতে পরিচ্ছন্ন এবং জনপ্রিয় জাতীয় প্রচার মাধ্যম হচ্ছে বাংলাদেশ বেতার। শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবেশ এবং বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান প্রচারে বেতারের ভূমিকা অপরিসীম। যিনি তার মেধা এবং লেখনী দিয়ে বেতারের অনুষ্ঠান গুলোকে করে ছিলেন উজ্জীবিত। বেতারের কল্যাণে সারা দেশে অসংখ্য শ্রোতার সাথে চিঠির মাধ্যমে তার সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেতার জ্ঞানের এক মূল্যবান গণমাধ্যম। বেতারের অনুষ্ঠান শ্রবণের মাধ্যমে যেমন নিজেকে আলোকিত করা যায় ঠিক তেমনি সমাজকেও জ্ঞানের আলোয় কু-সংস্কারের অন্ধকার থেকে আলোকিত করা যায়। বেতার অনুষ্ঠান শোনে মূল্যবোধকে বিকশিত করে দেশপ্রেমে অগ্রসর হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে বিশেষ ভূমিকা রাখা যায়।

    এক প্রশ্নের জবাবে বেতার শ্রোতা কৃঞ্চ কর্মকার বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম একটু একটু করে বুঝতে শিখেছি তখন আমার মামা বাড়ি বেড়াতে যেতাম তখন দেখতাম আমার মাতামহন দাদু ইন্জিঃ সার্জেন্ট হেমন্ত কুমার কর্মকার তার হাত ধরে রেডিও শোনার আগ্রহ জন্মে আমার। আমি খেতে চাইতাম না দুস্টামি করতাম তখন দাদু রেডিও শুনিয়ে রাতের নাটকের গল্প বলে ঘুম পড়াতেন। বাবার প্রতি আবদারের পর মাকে বাবা একটি রেডিও সেট ক্রয় করে দেন সেই রেডিও আমার কাছে খুব প্রিয় জিনিস হয়ে যায় আমি স্কুল থেকে আসার পর পড়াশোনার পাশাপাশি রেডিও শোনতাম।

    যখন রেডিও সেট অন করলেই যেন অপার তৃপ্তি পেতাম আর ক্লাসে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের কাছে রেডিওর প্রশংসা করতাম ও তাদেরকে রেডিও শোনার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করি। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার এ লেখালেখি শুরু করি এবং আমি একটা বেতার শ্রোতা ক্লাব গঠন করি। যার নামকরণ করা হয় “উদ্ভাসিত বেতার শ্রোতা সংঘ” এই বেতার সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ১৫ জন আমি বর্তমানে প্রায় বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক কেন্দ্র ও বিশ্বের বেতার স্টেশনসহ মোট ২০টির অধিক বেশি রেডিওতে লেখালেখি করি ও পুরস্কার অর্জন করি। বেতার যতই শুনছি যেন ততই নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি আমার জীবনকে সাজাতে বেতারের ভুমিকা অনস্বীকার্য আমার সোনার সংসারে একমাত্র ভরসা রেডিও।

    বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলাধীন মঠবাড়ীয়া থানার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত মঠবাড়ীয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ মিঠাখালীর কীর্তনপাড়া রোডের অবস্থিত। এলাকায় প্রায় ২০০-২৫০ লোক বসবাস করে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও বিনোদনের লক্ষ্যে একটি বেতার শ্রোতা সংঘ পরিচালনা করে আসছেন। বর্ণিত শ্রোতা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হ’ল এই কৃঞ্চ কর্মকার। এই শ্রোতা সংগঠনের সদস্য বর্তমানে ১৫ জন। “উদ্ভাসিত বেতার শ্রোতা সংঘ” নামক বেতার শ্রোতা ক্লাব স্থাপিত হয় ২০২৩ খ্রি. সালে।

    শ্রোতা ক্লাবের নিবন্ধনের তারিখ-২৩ জুলাই-২০২৩ খ্রি. বাংলাদেশ বেতার বরিশাল কেন্দ্র কর্তৃক তালিকাভুক্তকরণ নিবন্ধন নং-১০৭.০৫.০১.০৬০, আর ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সভাপতি-কৃষ্ণ কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক-গৌতম চন্দ্র শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক-সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-মৃর্তুন্জয় কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ-সুকুমার রায়, প্রচার সম্পাদক-সুভাষ রায়, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- পিন্টু কির্তনীয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক-গৌরী রাণী কর্মকার, দপ্তর সম্পাদক-সন্জিব গোলদার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক-উজ্জ্বলা রাণী কর্মকার, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক-বিধান সিকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক-চয়ন কর্মকার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক-তমালিকা কর্মকার, উপদেষ্টা মন্ডলী-বিনোদ বিহারী গাইন, উপদেষ্টা মন্ডলী-রবীন্দ্রনাথ কর্মকার প্রমুখ।

    বেতার শ্রোতা কৃঞ্চ কর্মকার আরও বলেন-বেতার শ্রোতা ক্লাবের মাধ্যমে এলাকার সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রোতা ক্লাব গঠন করছি এলাকার উন্নয়নে যেমন দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের কাছে বেতারের বুলেটিন পৌঁছে দেয়া ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে গিয়ে তাদের দুঃখ কষ্টে পাশে দাঁড়াই, কথা শুনি। সামাজিক কাজে মানুষের পাশে দাঁড়াই অসহায় মানুষের আর্থিক সাহায্য করি আমার ক্লাবের মাধ্যমে ও অসহায় ছেলেমেয়েদের জন্য লেখাপড়ার খরচ প্রদান করা হয়। এলাকার বাল্য বিবাহ তথা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।সকলকে বেতার শোনার পরামর্শ ও সকলকে মোবাইল এ্যাপস ডাউনলোড করে দেয়া হয়।

    ব্যক্তিগত জীবনে কৃঞ্চ কর্মকার অবিবাহিত। পারিবারিক ভাবে ২ বোন ও ১ ভাই, বোন ২ জনের বিবাহ হয়েছে, বাবা একজন কর্মকারী ব্যবসায় নিয়োজিত স্বর্গীয় মধুসূদন কর্মকার আয়রন স্টোর নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে। পিতা রবীন্দ্রনাথ কর্মকার ও মাতা গৌরী কর্মকার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে দিনাতিপাত করছেন ও নানা ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাজে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content