প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:০০:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ১৮ অক্টোবর। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ আগস্টের কালরাতে বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য স্বজনের সঙ্গে তাকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে নরপিশাচরা।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এবার দিবসটি পালনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা এক আবেগঘন বাণীতে ছোট ভাইকে স্মরণ করেছেন। একবাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
‘”শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তার পবিত্র স্মৃতি। বাংলাদেশে সব শিশুর মধ্যে আজও আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। এই শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জেলাপ্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। বিশেষ অতিথি সৈকত শাহীন, পুলিশ সুপার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। ডা: মো: মাহবুবুর রহমান,সিভিল সার্জন বান্দরবান পার্বত্য জেলা। মো: সামসুল ইসলাম, মেয়র বান্দরবান পৌরসভা।মো: ফজলুর রহমান,অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক), বান্দরবান পার্বত্য জেলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব এম এ মোমিন চৌধুরী, এছাড়াও দিবসের অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন শিশুদের পুরষ্কার বিতরণ করেন। তিনি বক্তব্যে বলেন, শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। শিশুর সঠিক মেধা বিকাশ ও নিরাপদে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।