• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    দর্শনাস্থ কেরুজ কাভার ভ্যানসহ মদ ও ড্রাইভার হেলপারসহ গ্রেফতার ৩

      প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২৩ , ৯:৪২:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ

    দর্শনাস্থ কেরু ডিস্ট্রিলারীর উৎপাদিত মদ ট্রাকযোগে সান্তাহার পণ্যাগারে রেখে ফেরার পথে অবৈধভাবে কন্টিনারে নিয়ে আসা কেরুজ মদসহ ড্রাইভার ও দু’সহযোগী ডিবির কাছে গ্রেফতার হয়েছে।
    সোমবার রাত ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই মাহমুদুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা রেলগেট এলাকায় কেরুর একটি কাভার ভ্যানকে গতিরোধ করে। এসময় কাভার ভ্যানের ড্রাইভার দর্শনার দক্ষিণ চাদপুর গ্রামেন কলম মন্ডলের ছেলে মনিরুল(৪২),সহযোগী দর্শনার মোহাম্মদপুর গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পা(৩৫) ও কুড়ুলগাছি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শুকুর আলী (৩৩)কে কেরুজ ১০ লিটার মদসহ কাভার ভ্যানসহ গ্রেফতার করে। মিলসূত্রে জানা যায় গত ২২ অক্টোবর রাতে কেরু ডিস্ট্রিলারীর উৎপাদিত দেশী মদ নিয়ে কেরুর নিজস্ব পরিবহন কাভার্ট ভ্যানে ( চুয়াডাঙ্গা উ ১১-০০০৯)করে সান্তাহার পণ্যাগারে পাঠানো হয়। যাওয়ার সময় পথিমধ্যে বিশেষ কৌশলে মদের ড্রামের সিল কেটে চালক মনির ও তার কথিত হেলপার শুকুর আলী ও বাপ্পা মদ বের করে তাদের নিজস্ব কন্টিনারে লুকিয়ে রাখে। পরে সান্তাহার পণ্যাগারে মদ ভর্তি ড্রাম নামিয়ে দিয়ে পরদিন কেরুতে ফেরার সময় দর্শনা রেলগেটে দামুড়হুদা পুলিশ ও ডিবির হাতে ধরা পড়ে এবং গাড়ি সহ দামুড়হুদা থানায় নিয়ে যায়। পরে কেরুর কতিপয় নেতা দামুড়হুদা থানায় যোগাযোগ করে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে গাড়ি ডিবি পুলিশ হেফাজতে রেখে ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করে।উল্লেখ্য গত ৩ মাসের মধ্যে কাভার্ড ভ্যান চালক মনি একবার শ্রীমঙ্গল ও একবার ময়মনসিংহ পণ্যাগারে মদ পৌছে দিয়ে ফেরার পথে পথিমধ্যে অবৈধ ভাবে মদ চুরি করে আনতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও সে যাত্রায় অজ্ঞাত কারনে ছাড়া পায় বলে একটি সূত্র জানায়।এ ব্যাপারে কেরু পরিবহন বিভাগের প্রধান জনাব আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। তবে কত লিটার মদ সহ ধরা পড়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি। এদিকে সম্প্রতি বরিশাল পণ্যাগার থেকে ফেরার পথে ঠিক একই ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার হয়নি। তখন চালক সাইফুল সহ ৩ জন ১০০ লিটার বাংলা মদ সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ১৫/২০ দিন হাজত বাস শেষে সম্প্রতি জামিন পেয়েছে। হরহামেশা মদ, চিটাগুড়, সার কেলেঙ্কারী সহ নানা দুর্ণীতিতে ছেয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী কেরু এ্যন্ড কোম্পানী। সবচেযে বড় সমস্যা চুরি বা দুর্ণীতি করে ধরা পড়লেও তার কোন সাজা হয় না।

    আরও খবর

    Sponsered content