প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:২৬:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
বাঙালি জাতির চিরদিনের গৌরব, অসমসাহস, বীরত্বের আত্মদানে মহিমান্বিত অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আজ।”১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস”।
১৯৭১ সালের এই দিন দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মরণপণ যুদ্ধের শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বীর বাঙালি। পাকিস্তানি হানাদার বর্বর ঘাতক সেনাবাহিনী অবনত মস্তকে অস্ত্র নামিয়ে রেখে গ্লানিময় আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার ( ১৬ই ডিসেম্বর) দিনের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
এছাড়াও সরকারি সকল দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা, এবং আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও পৃথকভাবে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন সংস্থা হতে স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। বর্ণিল পোশাকে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন নজর কেড়েছে স্টেডিয়ামে আগত হাজারো দর্শনার্থীর।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ,সরকারি প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যেদের সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদান, অনাথ আশ্রম, এতিমখানা, হাসপাতাল, জেলখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিকেলে স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সন্ধ্যায় মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গীর্জায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।